— প্রতীকী ছবি।
গত ৯ অক্টোবর, সোমবার রাতে নিশ্চিন্দার ঠাকুরাণীচক কালীতলা এলাকায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া। সেই ঘটনায় ৩৯ জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার সেই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ষষ্ঠী গায়েন।
গত সোমবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়েছিল নিশ্চিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, কালীতলার বাসিন্দা ষষ্ঠী গায়েন ও খোকন গায়েনের সঙ্গে বিবাদ তাঁদেরই আর এক ভাই অসিতের। তিনি আবার স্থানীয় তৃণমূলের আহ্বায়ক। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে অসিতের স্ত্রী টিকিট পান। প্রতিবাদে খোকনেরা নির্দল প্রার্থী দাঁড় করান বলে অভিযোগ। তখন থেকেই শুরু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে একটি জমির ভাগাভাগি নিয়ে দু’পক্ষের বেশ কয়েক বার বৈঠক হয়। কিন্তু সমাধানসূত্র বেরোচ্ছিল না। সোমবার রাতে ফের বৈঠক হয়। অভিযোগ, ওই রাতেই খোকনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক অসিতের বাড়ি ও পানশালায় হামলা চালায়। পানশালার কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বেধড়ক মারা হয় অসিতকে। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। সেই ঘটনায় আগেই ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার সেই মামলাতেই পুলিশ গ্রেফতার করল স্থানীয় তৃণমূল নেতা ষষ্ঠীকে। হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ শুক্রবারই ষষ্ঠীকে আদালতে তোলে।
যদিও গোলমালের পর দিন ষষ্ঠী দাবি করেছিলেন যে, তিনি অসুস্থতার কারণে সেই সময় বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। আত্মীয়তার সম্পর্কে তাঁরই দুই ভাই খোকন এবং অসিতের বিবাদে তিনি নেই বলেও দাবি করেছিলেন। যদিও সেই দাবি ধোপে টিকল না। নিশ্চিন্দা পুলিশ গ্রেফতার করল ষষ্ঠীকেও।
হাওড়া সিটির পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘অসিত গায়েনকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এই ঘটনায় ষষ্ঠী গায়েনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’