Chandannagar

‘আলো আমার আলো’, জগদ্ধাত্রী পুজোর রোশনাই দেখতে অষ্টমীতে জনজোয়ার চন্দননগরে

সন্ধ্যায় চন্দননগর স্টেশন রোড, মানকুন্ডু স্টেশন রোডে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ভিড় সামলাতে নানা ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। চন্দননগরের জন্য চার দিন বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৩
Share:

চন্দননগরে একটি মণ্ডপে ঢোকার মুখে আলোর রোশনাই। —নিজস্ব চিত্র।

দীপাবলি শেষ। তবু আবার আলোয় ভাসছে হুগলির চন্দননগর। গলি থেকে রাজপথ শুধু আলো আর আলো। কোনও কোনও মণ্ডপে ঢোকার গেটে নানা থিমের বাহারি আলো। কোথাও পুরো মণ্ডপ জুড়ে আলোর কারিকুরি। জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরের আলোর রোশনাইয়ের অমোঘ আকর্ষণে ছুটে আসছেন ভিন্‌জেলার বহু মানুষ।

Advertisement

আসলে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় ‘আলোদর্শন’ হয় দুই রকম। পুজোর মণ্ডপ এবং প্রতিমাদর্শনে আলোর খেলা দেখা যায়। দ্বিতীয়টা শোভাযাত্রায়। তার জন্য প্রতিযোগিতাও কম নয়। চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি যেমন আলোর গেটের জন্য পুরস্কার দেয়। সে জন্য রাস্তার উপর গেট তৈরি করে আলোর রোশনাইয়ের প্রতিযোগিতা হয়। আলোক শিল্পী মনোজ সাহার কথায়, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় আলো বাইরে চলে যায়। কলকাতা এবং ভিন্‌রাজ্য থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেই সেই সব আলো আবার হুগলিতে ফিরে আসে। তখনই চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রার জন্য আলাদা করে আলো তৈরি শুরু হয়ে যায়। বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলো একে অপরকে টেক্কা দিতে শোভাযাত্রাতেই তুরুপের তাস করে।’’ এ ছাড়া, বাগবাজার, বড়বাজার, কলুপুকুর, তালপুকুরধারের আলো দেখতে দেখতে জগদ্ধাত্রী দর্শন চলছে জোরকদমে। ভিড়ও হচ্ছে খুব।

সোমবার জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী। সন্ধ্যায় চন্দননগর স্টেশন রোড, মানকুন্ডু স্টেশন রোডে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ভিড় সামলাতে নানা ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। চন্দননগরের জন্য চার দিন বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement