waterlogging

howrah: এক মাসেও নামেনি জল, পথ অবরোধ

জল রয়েছে গৃহস্থের রান্নাঘরেও। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন হাওড়ার দাশনগর এলাকার কাশীপুরের বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২১ ০৮:১৩
Share:

যন্ত্রণা: এ ভাবেই এখনও জমা জল ঠেলতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার, হাওড়ার দাশনগর এলাকার কাশীপুরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমে রয়েছে নোংরা, কালো জল। এমনকি, জল রয়েছে গৃহস্থের রান্নাঘরেও। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন হাওড়ার দাশনগর এলাকার কাশীপুরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার তাঁরা অবরোধ করলেন হাওড়া-আমতা রোড। অন্য দিকে, উত্তর হাওড়ায় জমা জল কেন বেরোচ্ছে না, তা দেখতে বিভিন্ন দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন
অরূপ রায়।

Advertisement

হাওড়ার দাশনগর এলাকার কাশীপুর-সহ ৯, ৪৯ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশে এক মাস ধরে জল জমে থাকায় তা কালো হয়ে গিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এ দিন। কয়েকশো বিক্ষোভকারী দাশনগর থানার কাছে হাওড়া-আমতা রোডে বসে পড়েন। তাঁদের হাতে ছিল জমা জল ও ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিবাদে লেখা প্ল্যাকার্ড।

সুমনা পাত্র নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘‘আমরা আর পারছি না। তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপিতার দেখা মেলে না। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও ফল হয়নি। প্রতি বার জল জমে, কিন্তু এত দিন ধরে থাকে না।’’ আর এক বাসিন্দা অনিন্দ্য সরকার বলেন, ‘‘আজ ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তাই অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হল। কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’’ এ দিন সকাল ১০টা থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে তা উঠে যায়। তবে দিনের ব্যস্ত সময়ে হাওড়া-আমতা রোডে তীব্র যানজট হয়।

Advertisement

অন্য দিকে, এ দিন সকাল ১০টা থেকে উত্তর হাওড়ায় জমা জল পরিদর্শন করতে যান অরূপ রায়। তিনি বামনগাছি, দশরথ ঘোষ লেন, মহীনাথ পোড়েল লেন, সীতানাথ বসু লেন, নন্দীবাগানের অবস্থা খতিয়ে দেখেন। উত্তর হাওড়ার মূল নিকাশি খাল পচাখালের অবস্থাও দেখেন বেলগাছিয়া ভাগাড়ে গিয়ে। সঙ্গে ছিলেন হাওড়ার পুর কমিশনার ধবল জৈন–সহ সেচ দফতর, কেএমডিএ, হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের আধিকারিক, পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা, উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী এবং পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা তৃণমূলের সদর সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য। পরিদর্শনের পরে অরূপবাবু জানান, জল জমার স্থায়ী সমাধান করতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে দ্রুত কাজে নামার চেষ্টা হচ্ছে। সেচ দফতর ইতিমধ্যে যে জায়গাগুলিতে জল জমে, তার মানচিত্র তৈরি করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement