—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে ‘এলিভেটেড করিডর’ বা ছয় লেনের ফ্লাইওভারের কাজ শুরু করার পাশাপাশি, হাওড়ার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তার সংস্কার ওরক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। হাওড়ার জেলাশাসক ও পুরসভার পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী চার বছর ধরে হাওড়া-আমতা রোড,ড্রেনেজ ক্যানাল রোড ও আন্দুল রোডের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছে। অন্য দিকে, পুরসভাও পুজোর আগে শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দিচ্ছে, যাতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হলে ওই সব রাস্তা দিয়েও ভারী মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারে।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে শেখপাড়া থেকে নিবড়া পর্যন্ত ছয় লেনের উড়ালপুলের কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। সেই কাজ শুরু হলে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফলে তখন কলকাতা ও হাওড়ামুখী সমস্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করানো হবে আন্দুল রোড, হাওড়া-আমতা রোড ও ড্রেনেজ ক্যানাল রোড দিয়ে। পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এই তিনটি রাস্তা মালবাহী গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য সংস্কার করা হবে। রাস্তাগুলিকে আরও চওড়া করার পাশাপাশি, রাস্তার দু’পাশে সৌন্দর্যায়নের কাজও করা হবে। সে জন্য সেখানে সমস্ত বেআইনি দখলদারদের সরানো হবে।
হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগামী চার বছরের জন্য হাওড়ার ওই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কারণ, এই চার বছর ধরে এলিভেটেড করিডরের কাজ চলবে। পরে ফের রাস্তার দায়িত্ব নেবে পুরসভা।’’ তিনি আরও জানান, পুজোর আগে শহরের খারাপ হয়ে যাওয়া অন্যান্য বড় রাস্তা ও অলিগলি মেরামতের কাজও শুরু হচ্ছে। প্রথমত পুজো আসছে, দ্বিতীয়ত কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে উড়ালপুলের কাজ শুরু হলে ওই সব রাস্তা দিয়েও যাতে মালবাহী গাড়ি যাতায়াত করতে পারে, তাই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। যে সব বড় রাস্তা মেরামতের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, সেগুলি হল— ইস্ট-ওয়েস্ট রোড, বেলিলিয়াস রোড, বেনারস রোড, ইছাপুর কামারডাঙা রোড ইত্যাদি। এ ছাড়াও হাওড়ার বিভিন্ন অলিগলিও মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন সুজয়। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে পুজোর আগে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, হাওড়ায় বর্ষায় জমা জল সরাতে সবরকম কাজ করছে পুরসভা। বিভিন্ন বড় নর্দমা পরিষ্কারের পাশাপাশি, বড় পাম্প চালিয়ে জমা জল বার করার কাজও করা হচ্ছে।’’