হাওড়ার নাজিরগঞ্জে সোহেল আহমেদ খান ও তাঁর বন্ধুদের খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার নাজিরগঞ্জে যুব তৃণমূলের সভাপতি আরিফ খানের ভাইসোহেল আহমেদ খান ও তাঁর বন্ধুদের খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। বুধবার গভীর রাতে, নাজিরগঞ্জের লিচুবাগান এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ফিরোজ ওরফে মতি ও মহম্মদ সুলতান।
গত শনিবার, ২৮ জানুয়ারি রাতে যখন আরিফের ভাইকে খুনের চেষ্টা ও আক্রমণের ঘটনাটি ঘটে, সেই সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ধরা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে দু’জনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
প্রসঙ্গত, ঘটনার রাতেই পুলিশ হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদের স্বামী মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডু এবং তাঁর শ্যালক, পুরসভার কর্মী চাঁদ মহম্মদকে গ্রেফতার করেছিল। ওই দু’জনের আট দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। গুড্ডু ও চাঁদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেইফিরোজ ও সুলতানের নাম জানতে পারে পুলিশ। ওই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েমকরতে ২৮ তারিখ রাতে গুড্ডু তাঁর দলবল নিয়ে যুব তৃণমূল সভাপতি আরিফ খানের উপরে চড়াও হতে গিয়েছিলেন। আরিফকে এলাকায় এবং বাড়িতে না পেয়ে তাঁর ভাই সোহেল আহমেদ খানের উপরে চড়াও হন গুড্ডুরা। সোহেলকে গুলি করে খুনের চেষ্টাহয়। এ ছাড়া ব্যাট, উইকেট, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ৫০-৬০ জনের বাহিনী এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাদ যাননি মহিলারাও। সেই তাণ্ডবে গুরুতর আহত হন তিন জন। বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে সোহেলের এক বন্ধুর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন কোনও মতে বাড়িতে ঢুকে বাঁচেন সোহেল।