সিসিটিভি-তে দুষ্কৃতীদের এই ছবিই ধরা পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
মোটরবাইকে এসে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এক ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁর ৩০ লাখ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দিল ৬ দুষ্কৃতী। পুলিশের কাছে এ অভিযোগ ওই ব্যবসায়ীর। হাওড়ার চন্দ্রপুরে ভরদুপুরে এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে আমতা থানা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জগৎবল্লভপুরের মল্লিকবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী দীনবন্ধু সাধুখাঁ প্রতিদিনের মতো সোমবারও ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে যাচ্ছিলেন। ডিমের পাইকারি ব্যবসায়ী দীনবন্ধুর সঙ্গে মোটকবাইকে তাঁর এক কর্মচারীও ছিলেন। আমতার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ওই টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য ডিমের বাক্সে টাকা ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন দীনবন্ধু।
পুলিশের কাছে দীনবন্ধুর অভিযোগ, দুপুর ৩টে নাগাদ আমতার আগে হরিদাসপুর স্টেশনের কাছে দু’টি মোটরবাইকে সওয়ার ছ’জন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। এর পর একেবারে ফিল্মি কায়দায় ওই ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ৩০ লাখ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয়।
ঘটনাস্থলের সামনেই আমতা থানার অধীনস্থ চন্দ্রপুর তদন্তকেন্দ্র। সেখানে গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানান দীনবন্ধু। তদন্ত নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তাতে দেখা গিয়েছে, দু’টি বাইকের এক-একটিতে তিনজন করে দুষ্কৃতী ছিল। কোনও বাইকেই নম্বর প্লেট লাগানো ছিল না। দু’টি বাইকেরই চালক হেলমেট পরে থাকায় কারও মুখ দেখা যায়নি। এ ছাড়া, দীনবন্ধুর বাড়ির আশপাশের সিটিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুপুর ৩টে নাগাদ ছিনতাই হলেও তাঁর বাড়ির কাছে জগৎবল্লভপুর মোড়ে দুপুর ১টা থেকে অপেক্ষা করছিল দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনায় হতবাক দীনবন্ধু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি। কিন্তু, এ ভাবে যে টাকা ছিনতাই হবে, তা ভাবতেও পারিনি। তবে পুলিশের প্রতি ভরসা আছে।” পুলিশের উপর ভরসার কথা জানিয়েছেন জগৎবল্লভপুর থানার সমন্বয় কমিটির সদস্য গোলাম মাসুদ। তিনি বলেন, “দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হবেই। ছিনতাই করা টাকাও উদ্ধার করা যাবে।” পুলিশের সন্দেহ, এই ছিনতাইয়ে দীনবন্ধুর কোনও পরিচিতই দুষ্কৃতীদের টাকা জমা দেওয়ার খবর জানিয়েছে।