Arambagh

উদ্বেগে শাহিদ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশ

শাহিদের সঙ্গেই সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েন তাঁর মেজদা শেখ আলি ইমাম। আলি অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়ার মন্দিরবাজারে থাকতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৬
Share:

শাহিদের নির্মীয়মাণ এই বাড়িও এখন চর্চায়। নিজস্ব চিত্র

নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েছেন আরামবাগের যুব তৃণমূল নেতা শেখ শাহিদ ইমাম। তারপর থেকেই উদ্বেগে রয়েছেন এখানকার শাহিদ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশ।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লক স্তরের তেমনই এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য শাহিদের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়েছিলাম। সেই টাকার উৎস নিয়ে কখনও প্রশ্ন করিনি। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও ধারণা নেই। সত্যি বলতে, বেশ ভয়েই আছি।” একই রকম উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন আরও কয়েকজন নেতা। বিভিন্ন সময়ে যাঁরা শাহিদের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন।

শাহিদের সঙ্গেই সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েন তাঁর মেজদা শেখ আলি ইমাম। আলি অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়ার মন্দিরবাজারে থাকতেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর নবান্নে চাকরি পান বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

একই পরিবারের দু’জন দুর্নীতির মামলায় জড়ানোয় পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। শাহিদের বাবা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহকুমা সভাপতি হাসান ইমাম রবিবারেও ফোন ধরেননি। এ দিনও তাঁদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। ফোন ধরেননি শাহিদের বড়দা আসগর ইমামও।

শাহিদদের সম্পত্তি নিয়েও চর্চা চলছে। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দোতলা বাড়ি ছাড়াও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলাপাড়ায় শাহিদের নিজের নামে একটি তিনতলা বাড়ি তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় পুর প্রতিনিধি (কাউন্সিলর) সঞ্জয় ঘোড়ুই বলেন, ‘‘নির্মীয়মাণ বাড়িটি শাহিদেরই। বেশ কিছু দিন নির্মাণ বন্ধ আছে।’’ ভূমি দফতরের পোর্টালেও দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট দাগের একাংশের জমি-মালিক শাহিদই। পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারী বলেন, “অনেক আগে বাড়ির অনুমোদন নিতে এসেছিল বলে মনে আছে।”

শাহিদদের আদি বাড়ি আরামবাগের পাড়াবাগনানে। গ্রামবাসীরা জানান, ইদ এবং বিভিন্ন পরবে গ্রামে আসে ইমাম পরিবার। দুই ভাইয়ের গ্রেফতারিতে বিব্রত সেখানকার তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের অঞ্চল নেতা শিবরাম চক্রবর্তী বলেন, “মহকুমায় শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী বলে পরিচিতি হাসান ইমামের ছেলেদের দুর্নীতি সামনে আসায় দল বেশ বিড়ম্বনায়। বাইরে বের হলেই মানুষ কথা শোনাচ্ছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement