—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তৃণমূলে সংগঠনে রদবদলের চর্চার মাঝেই উপনির্বাচনের ফল প্রকাশে জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক নজর দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে। জলপাইগুড়ি জেলার সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর এবং বিন্নাগুড়ি— এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত মাদারিহাট বিধানসভার অধীন। দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে গত লোকসভা ভোটের নিরিখে প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। প্রথমবার মাদারিহাট বিধানসভা দলকে জেতাতে দুই গ্রাম পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করেছিল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল। মাদারিহাট বিধানসভার অন্তর্গত হলেও সাংগঠনিক ভাবে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলই এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট পরিচালনা করছে। জেলার সব প্রান্ত থেকে তাবড় জেলা নেতাদের দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি কার্যত শিবির করে পড়েছিলেন। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, উপনির্বাচনবে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফলের প্রভাব দলের রদবদলেও পড়বে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট হয়েছে। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী।”
গত লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়িতে বিজেপি জিতলেও জয়ের ব্যবধান কমেছে। লোকসভা ভোটের আগে একটি উপনির্বাচনে ধূপগুড়ি বিধানসভাও বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল অন্দরের ব্যাখ্যা, ধীরে ধীরে জলপাইগুড়িতে সংগঠনের মাটি ফিরছে। এই উপনির্বাচনের ফলে সেই মাটি কতটা পুনরুদ্ধার হল তার হাতেগরম প্রমাণ মিলবে বলে দাবি। সাকোয়াঝোরা ১ এবং বিন্নাগুড়ি এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে সব সম্প্রদায় এবং জাতির ভোটদাতারা রয়েছেন। চা বলয়ের ভোটদাতারা রয়েছেন, রাজবংশী ভোটদাতারা রয়েছেন, মতুয়া ভোটদাতারা রয়েছেন তেমনিই হিন্দিভাষী ভোটদাতারা রয়েছেন। তৃণমূল সব ক্ষেত্রের সামাজিক ব্যক্তিত্বদের এনে প্রচার চালিয়েছে। কাজেই এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে গোটা জেলার বর্তমান রাজনৈতিক মনোভাবের কিছু নমুনা মিলবে বলেও ধরে নেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গত লোকসভা ভোটের নিরিখে ফলাফল ভাল হলে বর্তমান জেলা নেতৃত্বের হাত শক্ত হবে। দলের রদবদলে জেলা নেতৃত্বের ওপরে রাজ্য নেতৃত্বের মনোভাব কেমন হবে সে দিকনির্দেশও দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফলে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।