Bison at Patlakhawa

পাতলাখাওয়ায় বেড়েছে বাইসন, চিন্তা বসতিতে

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের পাতলাখাওয়া জঙ্গলে বছর পাঁচেক আগে ৩০-৩৫টি বাইসন ছিল। একটি দলেই ওই বাইসনেরা ঘুরে বেড়াত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার, মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫২
Share:

পরপর দুদিন বাইসনের তাণ্ডবের পর পাতলাখাওয়া জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বনকর্মীদের নজরদারি। ছবি: সুবীর হোড়

বাইসনের সংখ্যা বাড়ছে কোচবিহারের পাতলাখাওয়া জঙ্গলে। বন দফতর সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। দফতরে আধিকারিকদের বক্তব্য, তার জেরেই মাঝেমধ্যে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাইসনের দল। বৃহস্পতিবারও পুণ্ডিবাড়ি এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় পাতলাখাওয়া জঙ্গল থেকে বার হওয়া তিনটি বাইসন। তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের। এই পরিস্থিতিতে ওই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বন্যপ্রাণীর যাতায়াত নিয়ে বাড়তি নজরদারি শুরু করল বন দফতর। শুক্রবার বিশেষ দল গড়ে ভোর ও রাতে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। কোচবিহারের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পাতলাখাওয়া জঙ্গলে সবসময়েই নজরদারি থাকে। শীতের শুরু থেকে ভোর ও রাতের দিকে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ দল নজরদারি করছে।’’

Advertisement

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের পাতলাখাওয়া জঙ্গলে বছর পাঁচেক আগে ৩০-৩৫টি বাইসন ছিল। একটি দলেই ওই বাইসনেরা ঘুরে বেড়াত। বর্তমানে সেই জঙ্গলে তিনটি দল মাঝেমধ্যেই নজরে পড়ছে বনকর্মীদের। প্রতিটি দলে বাইসনের সংখ্যাও কম নয়। সবমিলিয়ে ওই জঙ্গল এলাকায় বাইসনের সংখ্যা অন্তত একশো হয়েছে বলে বনকর্মীদের একাংশের অনুমান। জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায় তৃণভূমি থেকে লাগোয়া চত্বরে জলাশয়, নদী রয়েছে। এমন অনুকূল পরিস্থিতি ওই সংখ্যাবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বনকর্তারা। কোচবিহারের এডিএফও বিজন কুমার নাথ বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগের তুলনায় ওই জঙ্গলে বাইসনের সংখ্যা বেড়েছে।’’

গত কয়েক বছরে বন দফতরের চেষ্টায় ‘বনসৃজন’ প্রকল্পে ধীরে ধীরে পাতলাখাওয়ার বিস্তীর্ণ জঙ্গল পুরনো চেহারা ফিরে পেতে শুরু করে। গন্ডারের আবাসস্থল তৈরি করা থেকে তৃণভোজীদের পছন্দের ঘাস লাগানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়। তোর্সা পেরিয়ে জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে পাতলাখাওয়ার দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। বন দফতর সূত্রে খবর, সেখান থেকে গন্ডার-সহ নানা প্রাণী পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়ছে। কোচবিহারের ডিএফও জানান, ওই জঙ্গলে চিতাবাঘও নজরে পড়েছে। রয়েছে বুনো শুয়োর, হরিণও।

Advertisement

এ দিকে, মাথাভাঙার প্রেমেরডাঙা গ্রামে বাইসনের হামলায় নিহত নিপিন বর্মনের বাড়িতে গিয়ে শুক্রবার তাঁর পরিজনদের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন এডিএফও বিজন কুমার নাথ। বুধবার বাইসনের হামলায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement