রবিবার সকালে হাওড়া স্টেশনে আহত সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। — নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন অভিযানে ইটের ঘায়ে জখম হয়েছিল তাঁর বাঁ চোখ। উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীকে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। রবিবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন দেবাশিস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের এক সদস্য।
ফলকনামা এক্সপ্রেসে হায়দরাবাদে যাচ্ছেন দেবাশিস। সেখানে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হবে। নবান্ন অভিযানের পর দেবাশিস ভর্তি ছিলেন মুকুন্দপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে রবিবার ভোর ৬টা নাগাদ তাঁকে বার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সেই হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছন দেবাশিস। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দেবাশিসের বাঁ চোখ এখনও আংশিক দৃষ্টিহীন। তবে আগের চেয়ে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফেই উন্নত চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদে পাঠানো হল দেবাশিসকে।
গত ২৭ অগস্ট ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানে কর্তব্যরত ছিলেন দেবাশিস। স্ট্র্যান্ড রোডে তাঁর ডিউটি ছিল। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। সেই গাড়িতেই ছিলেন দেবাশিস। তাঁর চোখে একটি ইট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ঝরতে থাকে চোখ থেকে। ইটের আঘাতে ওই গাড়িতে থাকা আরও কয়েক জন জখম হন। ওই ঘটনায় ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার।
হাসপাতাল থেকে ভিডিয়োবার্তায় দেবাশিস বলেছিলেন, ‘‘আচমকা ইটবৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম ইটটাই আমার চোখে এসে লাগে। অঝোরে রক্ত ঝরছিল। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বাঁ চোখে এখন দেখতে পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না।’’
নবান্ন অভিযানে কলকাতা পুলিশের একাধিক সার্জেন্ট আহত হয়েছিলেন। অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। দেবাশিসের দৃষ্টি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বছর ৩৭-এর দেবাশিস কলকাতা পুলিশের পূর্ব বিভাগের সাইবার সেলের ইনচার্জ হিসাবে কর্মরত। তাঁর স্ত্রী-ও পুলিশে চাকরি করেন।