পুলিশ সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর চোখে আঘাতের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —ফাইল চিত্র।
কলকাতার ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর চোখে আঘাতের ঘটনায় ধরপাকড় শুরু করল লালবাজার। গত ২৭ অগস্ট ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’-এর ডাকা নবান্ন অভিযানে গিয়ে চোখে ইটের আঘাত পান দেবাশিস। তাঁর বাঁ চোখের দৃষ্টি হারানোর সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরও এক জনকে ধরে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা।
নবান্ন অভিযানের সময় স্ট্র্যান্ড রোডের কাছে কর্তব্যরত ছিলেন দেবাশিস। পুলিশের গাড়িতেই ছিলেন তিনি। তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে আচমকা ইট ছোড়া শুরু হয়। একটি ইট সরাসরি দেবাশিসের চোখে লাগে। তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ওই গাড়িতে থাকা আরও কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন ইটের আঘাতে। এই ঘটনায় ময়দান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম রিঙ্কু সিংহ, তিনি মহেশতলার বাসিন্দা। এ ছাড়া, সুব্রত দাস এবং জিতেন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জনকেই পুলিশ খুঁজছিল। ওই এলাকার ক্যামেরায় যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে এই তিন জন ছিলেন। তাঁদের হামলাকারী হিসাবে চিহ্নিত করে সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছিল কলকাতা পুলিশ। সাধারণ মানুষের কাছে ওই হামলাকারীদের সন্ধান চাওয়া হয়েছিল। ঘটনার দু’দিনের মাথায় তাঁদের গ্রেফতার করা হল। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দেবাশিস। তিনি কলকাতা পুলিশের পূর্ব বিভাগের সাইবার সেলের ইনচার্জ। ইটের ঘায়ে তাঁর বাঁ চোখ গুরুতর জখম হয়েছে। ওই চোখে ভবিষ্যতে তিনি দেখতে পাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। দেবাশিস নিজে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন আচমকা তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে একদল মানুষ ইট ছুড়তে শুরু করেন। প্রথম ইটটিই তাঁর চোখে গিয়ে লেগেছিল। সঙ্গে সঙ্গে অঝোরে রক্ত পড়তে শুরু করে। চোখের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত তাঁর পরিবারও। রাজ্য সরকারের তরফে চিকিৎসার জন্য তাঁকে হায়দরাবাদে পাঠানো হতে পারে। বৃহস্পতিবার দেবাশিসকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক।