শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
আর তোপ নয়। তাঁকে নিয়ে দলে শোরগোলের আবহে ঐক্যের বার্তা দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, তৃণমূলে সকলে একসঙ্গে কাজ করে। এটা দলের একটি ‘কৃতিত্ব’ বলেও মনে করেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি যে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিতে বিশ্বাস রাখেন সে কথাও জানিয়েছেন কল্যাণ।
রবিবার শ্রীরামপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ। সেখানে দলনেত্রীকে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিতে বিশ্বাস করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে আছেন। উনি মানুষের পাশে আছেন। উনি উন্নয়নের কথা ভাবেন। আর আমরা সেই নীতিকে নিয়ে তৃণমূলের সকলে, এ টু জেড উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমরা সবাই মিলে কাজ করি। তৃণমূলের তৃণমূল স্তরের কর্মী থেকে আমরা সকলে মিলে কাজ করি। এটা আমাদের দলের একটা কৃতিত্ব। আমরা ‘আমরা’তে বিশ্বাস করি।’’
সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে দলের অন্দরেই। তা নিয়ে রবিবার অবশ্য একটি শব্দও খরচ করেননি শ্রীরামপুরের সাংসদ। যদিও এক বার তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার সমস্যা হচ্ছে আমি কিছু ভুলি না। আর আমি বলে ফেলি।’’ তবে তার পর তিনি টেনে আনেন বিধানসভা নির্বাচনের সময় বল্লভপুর এলাকায় বিজেপি প্রার্থী কবিরশঙ্কর বসুর সঙ্গে তৃণমূলের অশান্তির প্রসঙ্গ। কল্যাণের প্রাক্তন জামাই কবির। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে বিধানসভা নির্বাচনের সময়। সেই প্রসঙ্গেই কল্যাণ বলেন, ‘‘আমি কোনও কথা ভুলি না। আমার সমস্যা হচ্ছে, আমি কিছু ভুলি না। এখন আর বিজেপি প্রার্থীকে দেখা যায় না।’’
কোন্নগরে ওই একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকও। তিনিও কল্যাণ-বিতর্ক এড়িয়ে যান। বলেন, ‘‘কোনও মডেল নিয়ে কথা বলব না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেরিত একজন দূত হিসাবে কাজ করছি। তাঁর নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। পশ্চিমবঙ্গের মডেল নিয়ে বলব। যিনি যা বলছেন তাঁরা আমার থেকে বয়সে এবং অভিজ্ঞতায় বড়। তাঁদের ব্যক্তিগত নীতি, আদর্শ এবং অভিমত আছে। তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। সে ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। কে ঠিক, কে ভুল সেই তর্কে যাব না।’’