Kalyan Banerjee

Kalyan Banerjee and Rajib Banerjee: আগাগোড়া দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজীবকে তোপ কল্যাণের, সুনীলের কবিতা আশ্রয় করে আক্ষেপ

রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফের জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখান রাজীব। আর তা নিয়েই ফুঁসে উঠেছেন কল্যাণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২১ ১৬:২৩
Share:

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফিরতেই ‌আক্রমণ শানালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দেগেছেন হুগলির শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘‘টপ টু বটম করাপ্টেড।’’ পাশাপাশি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতা আশ্রয় করে আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে কল্যাণের গলায়। সব মিলিয়ে রাজীবের প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে আক্রমণ আর আক্ষেপের মিশেলে ফের সরব কল্যাণ।
রবিবার আগরতলায় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফের জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখান রাজীব। আর তা নিয়েই ফুঁসে উঠেছেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়েন (যোগ দিয়েছেন) করিয়েছেন। আমাকে তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু মমতাদি নির্বাচনের মিটিংয়ের সময় ডোমজুড়ে বলেছিলেন যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩-৪টে বাড়ি আছে গড়িয়াহাটে। তার টাকার ট্র্যানজাকশন (লেনদেন) চলছিল দুবাইয়ে। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্ব বলতে পারবেন।’’

Advertisement

কল্যাণ আরও বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দিয়ে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। আমিও এক জন দলের কর্মী। সাংসদ তো নিশ্চয়ই। তাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাটা মনে পড়ছে। ‘কেউ কথা রাখেনি’কবিতাটা মনে পড়ছে। আর তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা তো সবাইকে মেনে চলতে হবে। আমাকেও মেনে চলতে হবে। তবে আমি জানি না এরকম একটা টপ টু বটম করাপ্টেড (পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত) এক জন লোক, সেই লোককে কেন জয়েন করানো হল। আমি জানি না তা।’’

রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে রাজীবের বিদায় পর্বে সবচেয়ে বেশি মুখর ছিলেন কল্যাণ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন তিনি। ডোমজুড়ে হারের পর রাজীবের ঘর ওয়াপসির সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠে। সেই পর্বেও বিরোধিতা চালিয়ে গিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। রাজীবের ঘর ওয়াপসির মুহূর্তেও সেই সুর জারি রাখলেন তিনি। রবিবার কল্যাণ ভাষায় যে ধার টের পাওয়া গিয়েছে তা ইতিপূর্বে শোনা যায়নি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement