বিজেপি সফর শেষ! আগরতলায় তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
অভিমানে, জেদে তৃণমূল ছেড়েভুল করেছিলেন, এ জন্য অনুতপ্তও। রবিবার ত্রিপুরায় তৃণমূলে যোগ দিয়ে এমন অনুতাপের কথা শোনালেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় কুণাল ঘোষ ও সুস্মিতা দেবের উপস্থিতিতে যোগদান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক আশিস দাসও তৃণমূলে যোগ দেন। প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব তৃণমূলে যোগ দিয়েই ধন্যবাদ দেন মমতা ও অভিষেককে। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি ভোটের সময় ওদের সভা থেকেই বলেছিলাম, ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনওই মানুষ ভাল ভাবে মেনে নেবে না। তাই হয়েছে, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঠিক, তা বাংলার মানুষ তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। আর আমি এবং আমরা যে ভুল ছিলাম, তাও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’
ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করে রাজীব বলেন, ‘‘এক ভয় কিসের? ভয় কখন হয়, যখন গদি টলমল হয়। আজ গদি টলমল হয়ে গিয়েছে। তাই এত ভয় পাচ্ছেন। বাইরে কতলোক ঢুকতে দেয়নি। গাড়ি দিচ্ছে না। ভয় দেখিয়ে আটকে দিচ্ছে। ত্রিপুরায় যাঁরা পরিবর্তন নিয়ে আসবেন তাঁরা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’
রাজীব রবিবার শোনান তাঁর বিশ্বাসভঙ্গের কথাও। বলেন, ‘‘বিজেপি-কে বিশ্বাস করে আমার যেমন বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে, তাই আপনাদেরও বলব বিজেপি-কে বিশ্বাস করবেন না। আর কংগ্রেস ও সিপিএম-কে ভোট দেওয়ার মানে বিজেপি-র হাত শক্ত করা। তাই ওদের আর ভোট দেবেন না।’’ ত্রিপুরার আগামী পুরভোটে বিজেপি-কে ধরাশায়ী করে তৃণমূলের জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করতে বলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। প্রসঙ্গত,রাজীব এতদিন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর তিনি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। বছর শেষ হওয়ার আগেই, ৩১ অক্টোবর তৃণমূলে ফের যোগ দিয়ে তিনি বিজেপি সফর শেষ করলেন।