এক ভাড়াটে ঘরের মেঝেতে এক মানুষ সমান গর্ত কেটেছেন। নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির মালিককে না জানিয়ে ঘরের মেঝেতে এক মানুষ সমান গর্ত খুঁড়ে বসে আছেন ভাড়াটে! বাড়ির মালিকের দাবি, তাঁকে না জানিয়েই অসৎ উদ্দেশ্যে গর্ত খোঁড়া হয়েছে। ভাড়াটের সাফাই, কোমরের সমস্যা, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো গর্ত খুঁড়েছেন। এমন অদ্ভুত ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির উত্তরপাড়ায়। ওই ঘর তালাবন্ধ করে দিয়ে গিয়েছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিঙ্কু চক্রবর্তীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন কৃষ্ণপ্রসাদ সাউ। বাড়ির মালিক রিঙ্কুর অভিযোগ, তিনি কিছু দিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন সেই সুযোগে তাঁর ভাড়াটে ঘরের মেঝেতে এক মানুষ সমান গর্ত কেটেছেন। রিঙ্কুর আরও অভিযোগ, বাড়ির মধ্যে বাইরের লোক ডেকে এনে গর্ত কাটা হয়েছে। তাঁর কথায়, “কোনও সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই গর্ত খোঁড়া হয়নি। আমাকে জানানো হয়নি। আমি জানতে পেরে জোর করে ঘরে ঢুকে দেখি প্রায় এক মানুষ গর্ত।”
কেন গর্ত খুঁড়েছেন জিজ্ঞেস করলে ভাড়াটিয়া কৃষ্ণ প্রসাদ সাউ বলেন, “তাঁর কোমর ভাঙা। পিজির এক চিকিৎসক বলেছেন বাড়িতে গর্ত খুঁড়ে বসে থাকতে। সেই কারণেই তিনি ওই গর্ত খুঁড়েছেন।”
এই বিষয়ে কৃষ্ণপ্রসাদের ছেলে তথা যুব তৃণমূল নেতা অশ্বিনী সাউ বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমি বাড়ির বাইরে রয়েছি। কেন বাবা বাড়ির মেঝেতে গর্ত খুঁড়লেন সেই বিষয়ে কিছুই জানি না।” অশ্বিনী আরও বলেন, “বাবার কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে পিজি হাসপাতালে কিছু দিন চিকিৎসাধীনও ছিলেন।”
গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বাড়ির মালিক রিঙ্কু উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এসে ঘর তালাবন্ধ করে দিয়ে যায়।