বাসে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র। প্রতীকী ছবি।
ধানবাদ থেকে এ রাজ্যে আসা বাসে তল্লাশি চালিয়ে বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার হুগলির ডানকুনিতে ধানবাদ থেকে কলকাতামুখী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪০টি অর্ধেক তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ দল। ওই ঘটনায় যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। ধৃত ইমতিয়াজ আহমেদ, মহম্মদ সাগির এবং হাসিনা বেগম ধানবাদের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীরামপুর আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ডানকুনির টোল প্লাজার কিছুটা আগে ধানবাদ থেকে কলকাতাগামী একটি বাসকে আটকানো হয়েছিল। সেই বাসেই সন্ধান মেলে ওই বিপুল আগ্নেয়াস্ত্রের। সব ক’টি আগ্নেয়াস্ত্র অর্ধেক তৈরি। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সোমবার ধানবাদ থেকে কলকাতাগামী ওই বাসে এসটিএফ এবং পুলিশ হানা দেয়। ধৃতদের সোমবারই আদালতে হাজির করানো করা হয়।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বেশ কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কেন অস্ত্রগুলি অর্ধেক তৈরি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মনে করা হচ্ছে, এগুলি পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার কৌশল। যাতে ধরা পড়লে ওই অর্ধেক তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রকে ‘যন্ত্রাংশ’ বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। আবার এ-ও মনে করা হচ্ছে, ধানবাদ থেকে ওই রকম অস্ত্র নিয়ে এসে বাকি অর্ধেকটা এখানে তৈরি করে নেওয়া হবে। কোথা থেকে ওই অস্ত্র আনা হচ্ছিল, তা কোথায় নিয়ে যাওয়া হত— পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পাচারকারীদের মধ্যে মহিলার উপস্থিতিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশের একটি মহলের ধারণা, আগে ওই অস্ত্র রাজ্যে সাধারণত আনা হত রেলপথে। তবে লকডাউন পর্বের পর থেকে ট্রেন অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় এখন বাসেও চলছে অস্ত্রপাচার।