ফাইল ছবি
ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা মারার লার্ভিসাইড তেলে ভেজাল মেশানোর প্রমাণ পেলেই সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে বাতিল করা হবে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে হাওড়া পুরসভা, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একটি বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে স্বাস্থ্য আধিকারিকের ১৭ বছর ধরে শূন্য থাকা পদে আগামী দু’মাসের জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে এক জন মেডিক্যাল অফিসারকে আনা হবে। তিনি পুর স্বাস্থ্য বিভাগের কাজকর্ম-সহ ডেঙ্গি মোকাবিলার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেবেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু জায়গা থেকেই লার্ভিসাইড তেলের মান নিয়ে অভিযোগ আসছিল। ওই তেলে ভেজাল মেশানো হচ্ছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন অনেকেই। এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরসভার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক আচমকা বিভিন্ন এলাকায় হাজির হয়ে স্প্রে-ম্যানদের দেওয়া ওই তেলের মান পরীক্ষা করে দেখবেন। তেলে ভেজাল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে বাতিল করা হবে। পুজোর আগে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার পরেই হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গি ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। সরকারি রিপোর্ট থেকেই তা জানা গিয়েছে। তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ আগেও হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা একশো বা তার বেশি ছিল। গত এক সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা কমে ৩৬ হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য পুরসভার মতো হাওড়াতেও স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুজোর সময়েও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের জ্বর হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে। পুর চেয়ারপার্সন জানান, বর্তমানে হাওড়া পুরসভার ১৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২২টি ফিভার ক্যাম্প চলছে। রেল ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের পরিত্যক্ত জায়গা বা অফিসগুলিতে সাফাই অভিযান ও ডেঙ্গির মশা মারার তেল ছড়ানোর মতো কাজও শুরু করা হয়েছে।