— প্রতীকী ছবি।
বেআইনি বহুতল রুখতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাওড়া পুরসভা। নিয়ম ভেঙে নির্মাণকাজ চালালে এ বার থেকে প্রোমোটার বা ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। পুজোর পর থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে নয়া নীতি। এর ফলে হাওড়ার মতো শহরে বেআইনি নির্মাণে লাগাম টানা যাবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।
হাওড়া পুর এলাকায় বেআইনি বহুতল নির্মাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এমনই অভিযোগ উঠছে। এমনিতেই ঘিঞ্জি শহর হিসাবে হাওড়ার নাম রয়েছে। তার মধ্যে বেলাগাম বেআইনি নির্মাণ পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে তুলেছে বলেও অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে বেআইনি বহুতল নির্মাণ রুখতে এ বার কড়া পদক্ষেপের পথে যাচ্ছে হাওড়া পুরসভা। পুরনিয়ম না মানলে এফআইআর করা হবে থানায়। আগে এমন নিয়ম ছিল না। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া দাওয়াই প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, বেআইনি নির্মাণ রুখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। বেআইনি নির্মাণের খবর পেলে প্রথমে নোটিস দিয়ে শুনানির পর বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারলে ভেঙে দেওয়া হবে অবৈধ নির্মাণ। এর পর যদি কোনও প্রোমোটার বা ঠিকাদার আবার সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করেন, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর করবে পুরসভা। তিনি আরও জানান, এ রকম কিছু প্রোমোটারের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে পুরসভার কথাও হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান। পুজোর পর থেকেই বেআইনি নির্মাণ রুখতে নয়া নীতি কার্যকরী হবে।
হাওড়ায় যত্রতত্র বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা। কিছু দিন আগে পুরসভা অভিযানের মাধ্যমে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি। হাওড়া সদরের বিজেপির সম্পাদক ওমপ্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘পুরসভা যা করছে সেটা হল মানুষকে বোকা বানানো। বেআইনি বহুতল নির্মাণ কী করে হচ্ছে? তার জবাব দিক আগে। আসল কথা হল, বেআইনি নির্মাণ রুখতে পুরসভার পর্যাপ্ত নজরদারিও নেই। এটা আই ওয়াশ মাত্র।’’