প্রতীকী ছবি।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে ১২ বছর পর্যন্ত বয়সিদের মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো রাজ্য সরকারের কাছে মায়েদের জন্য ৪ লক্ষ করোনা প্রতিষেধকের আবেদন করল হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। যার মূল লক্ষ্য, শিশুদের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থেকে দূরে রাখা। যেহেতু ওদের এখনই প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে না, অন্তত মায়েরা প্রতিষেধক নিলে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কমবে বলেই মত চিকিৎসকদেরও।
ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলার এবং হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা ও শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, হাওড়ায় মায়েদের জন্য চার লক্ষ প্রতিষেধক লাগবে। তাই রাজ্য সরকারের কাছে অবিলম্বে ওই পরিমাণ প্রতিষেধক চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতেও শিশুদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত যন্ত্রপাতি তৈরি রাখার পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতর জোর দিচ্ছে মায়েদের করোনা প্রতিষেধক প্রদানে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানান, ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু এবং বালক-বালিকার সংখ্যা হাওড়ায় কত আছে, তার তালিকা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছর গড়ে ৬০-৬৫ হাজার প্রসব হয়। গ্রামের দিকে প্রসূতিদের তালিকা থাকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। পুরসভার কাছে এই ধরনের তালিকা না থাকায় এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা ও শিশুর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। মায়েদের কে কে প্রতিষেধক নিয়েছেন, তা-ও তালিকায় তোলা হচ্ছে।” তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হাওড়া জেলায় ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মায়ের সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। আপাতত ৪ লক্ষ প্রতিষেধক চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, শিশুরা মায়েদের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকে। তাই মায়েরা যাতে সংক্রমিত না হন, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। সে কারণে প্রতিষেধক প্রদানে শিশুর মায়ের স্বাস্থ্যে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘দিনে ৫০ হাজার প্রতিষেধক দেওয়ার পরিকাঠামো হাওড়ায় আছে। প্রতিষেধকের সরবরাহ ঠিক থাকলে, চলতি মাসেই সব মায়েরা তা পেয়ে যাবেন।’’