বস্তি ভাঙতে চলল বুলডোজ়ার। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার তারকেশ্বর রেলস্টেশনের কাছে বস্তি উচ্ছেদ করতে বুলডোজ়ার চালাল রেল। উচ্ছেদের সময় কোনও রকম অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর জায়গায় জায়গায় জবরদখল করে রাখা সরকারি জমি উদ্ধারে হাত লাগিয়েছে প্রশাসন। হুগলির একাধিক জায়গায় আগেও এই অভিযান চলেছে। এই প্রেক্ষিতে রেলও তাদের জমি উদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ করছে। শনিবার তারকেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতেও চলে সেই প্রক্রিয়া।
তারকেশ্বর রেলস্টেশনকে ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। স্টেশন সংলগ্ন রেলের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা বস্তির বাসিন্দাদের এক বছর আগে উচ্ছেদের নোটিস ধরানো হয়েছিল। এ বার শুরু হল উচ্ছেদের প্রক্রিয়া।
রেল সূত্রে খবর, তাদের জায়গা দখলমুক্ত করার যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে শুক্রবার। নোটিস অনুযায়ী, শনিবার সকাল থেকে তাই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বস্তি ভাঙতে নামানো হয়েছে বুলডোজ়ার।
অন্য দিকে, বর্ষায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে সমস্যায় বস্তির বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নোটিস পেলেও বর্ষা কেটে যাওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আবেদনে মান্যতা দেয়নি রেল। কয়েক জনের অভিযোগ, ‘‘বেছে বেছে আমাদেরই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অথচ, যাঁরা রেলের জায়গা দখল করে পাকা বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন, রেলের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন, তাঁদের কেন ছাড় দেওয়া হল?’’ রেলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, নোটিস জারি করার নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেই তারা উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামিদিনে রেলের সমস্ত জায়গা দখলকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে।