স্কুলের উপর দিয়েই চলে গিয়েছে এই হাইটেনশন লাইন। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার বাঁকড়ার মিশ্র পাড়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে সোমবার ঠান্ডা জল খেতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এক ছাত্রী। এই ঘটনার জেরে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এই স্কুলের শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে। চিন্তার কারণ, বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন। এই স্কুলের যে মূল ভবন ঠিক তার উপর দিয়েই চলে গিয়েছে এক লক্ষ বাষট্টি হাজার ভোল্টের হাইটেনশন লাইন। বছর খানেক আগেই স্কুলের পাশেই একটি বাড়ি তৈরির সময় ওই হাইটেনশন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক রাজমিস্ত্রির। বর্ষাকালে বিদ্যুতের তার থেকে আওয়াজ হয় বলে এলাকাবাসীদেরও অভিযোগ।
স্কুলেরই এক পড়ুয়ার অভিভাবক কাসেম আলি জানান স্কুলের ওপর হাইটেনশন লাইন দুশ্চিন্তার বিষয়। স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক ব্রততী কর্মকারের দাবি, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। হাইটেনশন লাইন সরিয়ে নিলে ভালো হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
সোমবারের ঘটনার পর অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকলে এই ধরনের বিপদ ঘটত না। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ দায় স্বীকার করেছে। গতকালের ঘটনার পর ঠান্ডা জলের মেশিনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে নতুন করে বিদ্যুৎজনিত কোনও বিপত্তি না ঘটে তার জন্য সমস্ত বিদ্যুতের লাইন পরীক্ষা করানো হয়েছে বলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি।
সোমবারের দুর্ঘটনার পর রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই স্কুল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তবে কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তাঁরা বিশেষ কিছু জানাননি। হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া আফরিন পারভিন নামের ওই ছাত্রীর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ক্লাস থেকে জল খেতে বেরিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আফরিন। স্কুলে বিদ্যুৎচালিত ঠান্ডা পানীয় জলের জন্য একটি ফ্রিজার রয়েছে। ওই ফ্রিজার থেকে জল নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আফরিন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ছিটকে পড়ে। তাকে অচৈতন্য অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।