প্রতীকী চিত্র।
স্কুলে ঠান্ডা জল খেতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল এক ছাত্রী। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়ার মিশ্র পাড়া এলাকায়। অচৈতন্য অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ভর্তি করানো হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
বাঁকড়ার মিশ্র পাড়া মাধ্যমিক স্কুলে ওই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ক্লাস থেকে জল খেতে বেরিয়েছিল আফরিন পারভিন নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। স্কুলে বিদ্যুৎচালিত ঠান্ডা পানীয় জলের জন্য একটি ফ্রিজার রয়েছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ওই ফ্রিজার থেকে জল নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আফরিন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ছিটকে পড়ে। তাকে অচৈতন্য অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতীশীল বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলে জড়ো হতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে আসেন ডোমজুড় থানা এবং বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকর্মীরা। বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত অভিভাবকরা। এমন দুর্ঘটনা টিফিন-বিরতির সময়ে হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত বলে আশঙ্কা অনেকের।
স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দেখভাল করেন কমল দাস নামে এক মিস্ত্রি। তাঁর দাবি, ‘‘এটা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ফ্রিজার। এই যন্ত্রটির বৈদ্যুতিক সংযোগ দীর্ঘ দিন রক্ষণেবেক্ষণ হয়নি।’’
যদিও কমলের সেই অভিযোগ মানতে চাননি প্রধান শিক্ষক শেখ আকবর আলি। তিনি বলেন, ‘‘ওই যন্ত্রটি হাওড়া জেলা পরিষদ আমাদের দিয়েছে। আমরা মাঝেমধ্যেই ওটা পরীক্ষা করি। দিন কয়েক আগে যন্ত্রটি খারাপ হয়েছিল। সেই সময় জেলা পরিষদ সারিয়েও দিয়েছিল। তবে এই ঘটনার পর ঠান্ডা জলের ওই ফ্রিজার বন্ধ রাখা হবে।’’