ফাইল চিত্র।
হাওড়া আদালত চত্বর থেকে উদ্ধার হল এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ। রবিবার সকালের ঘটনা। আদালত চত্বরে যেখানে মুহুরিরা বসেন, টিনের ছাউনি দেওয়া সেই সেরেস্তার সিলিং থেকে এ দিন গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বছর ৫০-এর ওই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শিবু পাল। তিনি হাওড়া আদালতে মুহুরির কাজ করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন আদালত পূর্ণাঙ্গ ভাবে না চলায় আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন ওই প্রৌঢ়। তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবুবাবুর বাড়ি উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ায়। কিন্তু তিনি বাড়ি যেতেন না। থাকতেন আদালত চত্বরে মুহুরিদের বসার জায়গার পাশে। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ আদালত চত্বরে থাকা বাসিন্দারাই মুহুরিদের বসার জায়গার পাশে টিনের ছাউনি থেকে ওই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি মুহুরির কাজ না থাকায় একটি হোটেলে কাজ করছিলেন শিবুবাবু।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের একাংশ জানিয়েছেন, মাঝে বেশ কয়েক বছর আদালতে আসেননি শিবুবাবু। আইনজীবী ও কর্মীরা প্রথমে ভেবেছিলেন, তিনি অন্যত্র চলে গিয়েছেন। কিন্তু, বছর দেড়েক আগে ফের আদালতে মুহুরির কাজ শুরু করেন ওই প্রৌঢ়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, করোনা আবহে আদালত অংশত খোলা থাকার জন্য আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন শিবুবাবু। আদালত চত্বরে অসহায়ের মতো তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন অনেকেই। এ দিন এই খবর শুনে আইনজীবীদের অনেকেই আদালত চত্বরে ছুটে যান।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।’’