সিঙ্গুরে টাটার সেই কারখানা। —ফাইল চিত্র।
সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তবে আমরা এখনও মনে করি, রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতির ভুল ছিল। সেই কারণেই কারখানা হয়নি। চাষিদের সঙ্গে কথা না বলে, লাঠিচার্জ করে, গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এর বিরোধিতা করেই আন্দোলন হয়। কিন্তু কারখানার বিরোধী আমরা কোনও দিন ছিলাম না। আন্দোলন করতে গিয়ে অন্য অনেকের মতো আমিও জেল খেটেছি।
কারখানার জন্য তিন ফসলি, চার ফসলি জমি দখল করা হয়েছিল। আমার জমি নেবে, কিন্তু কর্মসংস্থানের কী হবে, কত টাকা ক্ষতিপূরণ মিলবে, এ সব ব্যাপারে কৃষকের সঙ্গে আলোচনাই করা হয়নি। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভুল বুঝিয়েছিলেন। জমি অধিগ্রহণ নীতি ভুল ছিল বলেই তো সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমরা জমি ফেরত পেয়েছি। বুদ্ধবাবু যদি ৪০০ একর জমি ফেরত দিয়ে ৬০০ একরে কারখানা করতেন, তা হলে শিল্প হত। ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছিল।
কারখানা না হওয়ায় আমরাও হতাশ। এখনও মনে করি, ২০০৬ সালে বুদ্ধবাবু আমাদের সিঙ্গুরে শিল্প করতে চেয়ে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁর দলের নীতি ঠিক ছিল না।