পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা নিজস্ব চিত্র।
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবাসনের পাশে গঙ্গায় ধস নেমেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত আবাসনের ৭৬টি পরিবার। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে শ্রীরামপুর পুরসভায়। মঙ্গলবার পুর প্রশাসকের সঙ্গে ধোবিঘাটের পাশে ওই আবাসনে যান সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেচ দফতরের আধিকারিকরা আবাসনের বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, আপাতত বালির বস্তা ফেলে ধস আটকানো হবে। শীতে গঙ্গার জলস্তর কমলে পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হবে। আবাসনের সম্পাদক হারাধন মিত্র বলেন, ‘‘বেশ কয়েক দিন আগে ফাটল দেখা গিয়েছিল। টানা বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে হঠাৎ ধস নেমে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আবাসন লাগোয়া এলাকা। আবাসন তৈরি করার সময় ঠিক ভাবে পিলার দেওয়া হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। আবাসনের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।’’
এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেছেন, ‘‘বৈদ্যবাটি থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত সব ঘাট এবং ভাঙন কবলিত এলাকা বাঁধানোর জন্য সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে বলা হয়েছে। দ্রুত কাজ হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।’’ যদিও হুগলি জেলার বিজেপি যুব সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘নমামি গঙ্গে প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অনেক টাকা দিয়েছে। কিন্তু গঙ্গার পার না বাঁধিয়ে তৃনমূল সেখানে কাটমানি খেয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়ম না মেনে গঙ্গার পাড়ে আবাসন তৈরি করায় এমন বিপত্তি হচ্ছে।’’