উত্তম প্রামাণিকের স্ত্রী ও তাঁর পুত্রবধূ। নিজস্ব চিত্র
বাড়ির সামনের রাস্তা নিয়ে দুই পড়শি পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল অনেকদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সেই অশান্তি তীব্র আকার নেয়। পড়শির মারধরে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম উত্তম প্রামাণিক (৫৫)। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন প্রৌঢ়ের স্ত্রী, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ।
খানাকুলের চিংড়া গ্রামে সপ্তাহ খানেক ধরে উত্তম প্রামাণিকের বাড়ির সামনে রাস্তাকে কেন্দ্র করে অশান্তি চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ফের দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। সেই গন্ডগোল চরম আকার নেয়। প্রৌঢ়ের ছেলে মহাদেবের অভিযোগ, ‘‘প্রতিবেশী রামপদ,গুণধর,ভাগ্যধর,উদয়,শ্রীধর প্রামাণিকরা আমাদের উপর চড়াও হন। বাবাকে মারধোর করে বঁটি দিয়ে কোপান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হই আমি, মা ও আমার স্ত্রী।’’
পুলিশ খবর পেয়ে তিনজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় নতীবপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে,বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা নিয়ে পড়শিদের সঙ্গে উত্তমের পরিবারের বিবাদ চলছিল। বৃহস্পতিবার শ্রীধর ও গুণধর হঠাৎ করেই ধারালো বঁটি দিয়ে উত্তমের মাথায় আঘাতের পর আঘাত করে। আহত অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে আবার নতুন করে যাতে অশান্তি তৈরি না হয় তার জন্য সকাল থেকেই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।