এই গুদামটিতেই আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার ফোরশোর রোডের গুদামে বিধ্বংসী আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। জল নেভানোর জন্য তিনটি পাম্পও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। আগুন লাগার ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে, তার ঠিক পাশে একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। যার জেরে আশঙ্কা তৈরি হয়। ভয়ঙ্কর কোনও পরিস্থিতি এড়াতে পেট্রোল পাম্পটিকে বন্ধ করা হয়েছে। ফোরশোর রোডের একাংশ বন্ধ করে আগুন নেভানোর কাজ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাওড়া এবং শিবপুর থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। সেখানেই তিনি আগুন লাগার কারণ নিয়ে দমকলকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দমমকল সূত্রে খবর। সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে ফোরশোর রোডের একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে যায়। সেখান থেকে কারখানা সংলগ্ন ওই গুদামটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গুদামে কী মজুত করা ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই গুদামটিতে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিকের জিনিস মজুত করা ছিল। আগুন নেভাতে ইতিমধ্যেই তৎপর হন দমকল কর্মীরা। কী ভাবে ওই আগুন লাগল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দমকল সূত্রে খবর।