হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র।
মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণের চেষ্টা চলল এক ব্যবসায়ীকে। ধাক্কাধাক্কিতে বাইক থেকে পড়ে পা ভেঙেছে তাঁর। লোকজন চলে আসায় চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
রবিবার বেলা ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পোলবার অমরপুরে। জখম হয়েছেন চুঁচুড়ার পল্লিশ্রীর বাসিন্দা, পানমশলা (সুপারি প্রক্রিয়াকরণ) ব্যবসায়ী দীপক সাহা ওরফে মৃণাল। চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। মৃণালের ছেলে দেবাশিস থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খুঁজছে পুলিশ।
সুগন্ধার কাছে মৃণালের কারখানা আছে। বাড়ি থেকে স্কুটি বা গাড়িতে সেখানে যাতায়াত করেন তিনি। মৃণাল জানান, বেলা ১টা নাগাদ কারখানা থেকে স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অমরপুর মাঠের কাছে পাঁচ-ছ’টি বাইক ওভারটেক করে সামনে এসে পথ আটকায়। প্রতি বাইকে দু’তিন জন করে ছিল। সকলের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি মৃণালের।
আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে মৃণালকে একটি বাইকে ঠেসেঠুসে তোলা হয়। ধাক্কাধাক্কিতে বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। ততক্ষণে রাস্তায় লোকজন চলে এসেছে। চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
হাসপাতালে শুয়ে মৃণাল বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। হঠাৎ করে কেন অপহরণ করার চেষ্টা হচ্ছিল, বুঝতে পারছি না।’’ তাঁর দাবি, কাউকে চিনতে পারেননি। তবে, বলতে শুনেছেন, ‘‘চল তোকে দাদার কাছে নিয়ে যাব।’’ মৃণাল বলেন, ‘‘কোন দাদার কথা ওরা বলছিল জানি না।’’
ভোটের মুখে দিনেদুপুরে এই ঘটনায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের খোঁচা, ‘‘এক জন ছোট ব্যবসায়ীকেও দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তা হলে টাটারা কেন এ রাজ্যে আসবে! সাধারণ মানুষই বা কোন ভরসা বাড়ির বাইরে বেরোবেন!’’ সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা হুগলির প্রার্থী মনোদীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘এ রাজ্যে আইনের শাসন ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে।’’
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আপোষ করা হবে না। দুষ্কৃতী কার্যকলাপ আমরা বন্ধ করবই।’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও দলের নেতারা দুষ্কৃতীদের উস্কানি দিলে সেটাও দেখা হবে।’’