—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর মুখে রেলরক্ষী বাহিনীকে দিয়ে হকারদের উপরে জুলুমবাজি, লাঠি চালানো এবং প্রায় ৫০ হাজার টাকার জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ তুলে সোমবার দুপুরে হাওড়ার ডিআরএম অফিসের নীচে রাস্তা অবরোধ করে রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাল ১২টি বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন। ওই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে হাওড়া স্টেশন চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফের পাশাপাশি রেলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদেরও মোতায়েন করা হয়। পরে রেল ও আরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়ায় অবরোধ উঠে যায়।
গত কয়েক মাস ধরে হকারদের স্টেশন থেকে উচ্ছেদ করা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে রেলের গোলমাল চলছে। হকারদের অভিযোগ, যাঁরা ৩০-৪০ বছর ধরে স্টেশনে হকারি করছেন, তাঁদের দোকানও রেলরক্ষী বাহিনী ভেঙে তুলে দিচ্ছে। প্রতিদিন নানা ভাবে হেনস্থা করছে হকারদের। হকারদের ‘জাতীয় বাংলা সমিতি’র সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস বলেন, ‘‘গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাওড়া স্টেশনে ১০০ জনেরও বেশি হকারকে লাঠিপেটা করা হয়েছিল। ২৫ জনকে গ্রেফতার করে আটকে রাখা হয়েছে। গত কয়েক মাসে হকারদের প্রায় ৪৮ হাজার টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে আরপিএফ। পুজোর আগে হকারেরা পথে বসেছেন। ওই সামগ্রী ফেরত পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্না-বিক্ষোভ চলবে।’’
এ দিন প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পরে অবশেষে রেল এবং আরপিএফের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন হকার নেতৃত্ব। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে সব জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, রেল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই বিক্ষোভকারীরা ফিরে যান।