প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের কাছে কয়েক কোটি টাকা বকেয়া থাকলেও করোনার আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ফের শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালের দরজা খুলছে করোনা রোগীদের জন্য। তবে, এ বার সরকারি তত্ত্বাবধানে নয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগেই পরিষেবা দেবেন। রোগী ভর্তির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
রবিবার বিকেলে জরুরি বৈঠকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালের তরফে গৌতম সরকার বলেন, ‘‘আট কোটিরও বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। জেলার পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা পাইনি। কিন্তু করোনার বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বহু মানুষ আবেদন করছেন। তাতে সাড়া দিয়েই ফের আমরা করোনা চিকিৎসা করব। সরকার নির্ধারিত পরিষেবা মূল্যের কম টাকাতেই এখানে পরিষেবা দেওয়া হবে।’’
কোভিডের পাশাপাশি ‘সারি’ ওয়ার্ডও থাকবে হাসপাতালে। করোনার পাশাপাশি অন্য রোগের চিকিৎসাও চলবে। না হলে অন্য রোগীরা সমস্যায় পড়বেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। গত বছর হুগলিতে কোভিড চিকিৎসায় শ্রমজীবী বড় ভূমিকা নিয়েছিল। হাসপাতালের সম্পাদক চিকিৎসক অনিল সাহা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার বকেয়া না মেটানোয় হাসপাতালের আর্থিক স্থিতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের জমি পর্যন্ত বেচতে হয়েছে। এখন যা অবস্থা, আমরা সাধারণ মানুষ এবং সংগঠনের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করব। যাতে শ্রমজীবী ফের আগের মতো করোনার মোকাবিলায় পূর্ণশক্তি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।’’