শিল্পী ও সৃষ্টি নিজস্ব চিত্র।
কথা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক ছিল, করোনা পর্ব মিটলেই খোদ লতা মঙ্গেশকরের হাতে নিজের তৈরি কোলাজ তুলে দেবেন শিল্পী তপন সাহা। কিন্তু সেই সাধ আর মিটল না। রবিবার মুম্বইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত হলেন লতা মঙ্গেশকর।
কাগজ দিয়ে বিশিষ্ট মানুষের কোলাজ তৈরী করেন ব্যান্ডেলের কোলাজ শিল্পী তপন সাহা। সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, মান্না দে, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পন্ডিত রবিশঙ্কর, বিসমিল্লা খান, ভীমসেন জোশির মত দিকপালদের পোট্রের্টে কোলাজ করেছেন তপন। রঙের ব্যবহার নয়, শুধু কাগজ দিয়ে নিখুঁত অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন একের পর এক শিল্পীর।
লতার একটি অল্প বয়সের ছবি কোলাজে ধরেছেন তপন। প্রায় দু’মাস ধরে পরিশ্রম করে ছবিটি ফুটিয়ে তুলেছেন। ইচ্ছা ছিল, মুম্বইয়ে গিয়ে শিল্পীর নিজের হাতে কোলাজ তুলে দেবেন। মুম্বই নিবাসী এক বন্ধুর মাধ্যমে লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের সঙ্গে কথাও হয়। এর মধ্যেই করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় আর মুম্বই যাওয়া হয়নি তপনের। করোনা কাল পেরিয়ে আবার সব স্বাভাবিক হলে, নিজে লতার হাতে দিয়ে আসবেন কোলাজটি, এমনটাই ভেবে রেখেছিলেন তপন। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হল না। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর থেকে গোটা দেশবাসীর সঙ্গে কোলাজ শিল্পী তপনেরও প্রার্থনা ছিল, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুন লতা। কিন্তু তা আর হল না। বহু যত্নে তৈরি কোলাজ পৌঁছনো হল না লতার হাতে।
কোলাজ শিল্পী বলছেন, ‘‘কাগজ দিয়ে রঙ ছাড়া রঙিন ছবি করি। কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষের ছবি করে তাঁদের হাতে তুলে দিয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। ছেঁড়া কাগজের কোলাজ আমাদের দেশের সাক্ষাৎ স্বরস্বতীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা আর হল না। এটা ভেবেই খারাপ লাগছে।’’