সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার পোস্টার ও গল্পের অলঙ্করণের ছবি দিয়ে সাজল চন্দননগরের বোড় তালডাঙার পুজো মণ্ডপ
গুপি-বাঘা থেকে ফেলুদা। পথের পাঁচালী থেকে অশনিসংকেত, কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলাজ। ‘আগন্তুক’ সিনেমায় দেখানো আদিবাসী সংস্কৃতি তুলে ধরে হয়েছে প্রতিমার ডাকের সাজে। আবহে সঙ্গীতে সব্যসাচী চক্রবর্তীর কণ্ঠে বাজছে ‘মহারাজা তোমারে সেলাম’। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার পোস্টার ও গল্পের অলঙ্করণের ছবি দিয়ে সাজল চন্দননগরের বো়ড় তালডাঙার পুজো মণ্ডপ। থিমের নাম ‘শত মানিক জ্বলে’। চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এই থিমের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানালেন তালডাঙা পুজো কমিটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নামতেই জনস্রোত চন্দননগরে। পুজো কমিটির সভাপতি সুচারু কুন্ডু বলেন, ‘‘সত্যজিৎবাবুকে শ্রদ্ধা জানাতে এই থিমের পরিকল্পনা করেছি আমরা। মণ্ডপ ও প্রতিমাসজ্জায় সত্যজিতের নিজের হাতে আঁকা ছবি ও পোস্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এই থিমে ভীষণই খুশি দর্শনার্থীরা।’’
চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে প্রায় তিনশোর বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। গত বছর থেকে অতিমারি পরিস্থিতি চন্দননগরে থিম পুজো বাধ সাধলেও পুজো উদ্যোক্তারা ভেবেছিলেন, চলতি বছরে হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এ বছর নতুন উদ্যমে পুজো কমিটিগুলি পুজোর আয়োজন শুরু করলেও অধিকাংশ পুজোই সাদামাটা। থিম পুজো না করে সাধারণ মণ্ডপ করেছে বিদ্যালঙ্কা পঞ্চাননতলা, বোড় কালিতলা, বেশোহাটা, কুণ্ডঘাট, লালবাগান, পাদ্রীপাড়া, খলিসানি-সহ চন্দননগরের একাধিক বড় পুজো। তবে এ বার আরও বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে আলোকসজ্জায়।
থিমের নাম ‘শত মানিক জ্বলে’
কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দাস বলেন, ‘‘চন্দননগরে আলোক শিল্প গত বছর থেকে ধুঁকছে। দুর্গাপুজোয় বরাত নেই। জগদ্ধাত্রী পুজোয় শোভাযাত্রা নেই। তাই অনেক শিল্পী অন্য পেশা খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের কথা ভেবেই মণ্ডবসজ্জার খরচ বাঁচিয়ে বেশি করে আলো লাগানোর অনুরোধ করা হয়েছিল পুজো কমিটিগুলিকে। তার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।’’