acquital

ধর্ষণের মামলায় এক যুগ পর বেকসুর খালাস, রায় চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ভাবনা মহিলার

বেকসুর খালাস হওয়ার পর সৌম্য দত্ত বলেন, ‘‘ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে। লজ্জায় বাড়ি থেকে বার হতে পারতাম না। এই রায়ের পর মাথা উঁচু করে চলতে পারব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৯:১৩
Share:

চাকরি দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় বেকসুর খালাস অভিযুক্ত। — প্রতীকী ছবি।

১২ বছর ধরে মামলা চালানোর পর অবশেষ রায় এল। চাকরি দেওয়ার নাম করে যুবতীকে ধর্ষণের মামলায় চন্দননগর আদালত থেকে বেকসুর খালাস হয়ে গেলেন সৌম্য দত্ত। উচ্চতর আদালতে আবেদনের ভাবনা।

Advertisement

২০১০ সালের ১০ জুন তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কৈকালার এক যুবতী। তাঁর অভিযোগ ছিল, কৈকালা রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির তৎকালীন সচিব সৌম্য দত্ত তাঁকে সোসাইটিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করেন। কিন্তু যুবতী চাকরি পাননি। সৌম্য দত্তকে এই কাজে সাহায্য করেন স্বপ্না খোটে। তারকেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। পরে অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পান।

মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার পর মোট বারো জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তথ্য প্রমাণের অভাবে মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আব্দুল হাসেম কাজি অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেন। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী প্রতিম সিংহ রায় বলেন, ‘‘আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। আমরা আদালতে তা প্রমাণ করে দিয়েছি। মক্কেলের থেকে ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল। তা না দেওয়ায় ধর্ষণের মামলা করা হয়। আদালত সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে।’’ সৌম্য দত্ত বলেন, ‘‘ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে। সে সময় লজ্জায় বাড়ি থেকে বার হতে পারতাম না। এক যুগ পর এই রায় মাথা উঁচু করে চলতে সাহায্য করবে।’’

Advertisement

এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এটা অন্য কোনও মামলা নয়, ধর্ষণের মত গুরুতর মামলা। মামলায় যদি অভিযুক্ত খালাস হয়ে যায় সেটা খুবই হৃদয়বিদারক অভিযোগকারিণীর কাছে। তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের কপি অন্যান্য নথি সংগ্রহ করতে বলেছি। রায়ে আমরা খুশি হতে পারিনি। তাই এর বিরুদ্ধে আমরা হাই কোর্টে যাব। আগামী ষাট দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আবেদন করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement