রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’ কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের চোখে জল এনেছে। ছবি: ফেসবুক।
বড়দিনের চারটি বাংলা ছবি। বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টরা উপস্থিত সেখানে। তালিকায় যেমন দেবের ‘খাদান’ রয়েছে তেমনই রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে প্রযোজক-পরিচালকের ছবি। এক ঝাঁক তারকাদের সঙ্গে আমন্ত্রিত ছিলেন বনি সেনগুপ্ত, কৌশানী মুখোপাধ্যায়ও। উপস্থিত চিত্রগ্রাহকদের আবদারে এক সঙ্গে ছবি তোলেন। অনুরাগীদের সঙ্গে হাসিমুখে নিজস্বী তুলতেও দেখা যায় তাঁদের।
কালো সিক্যুইনের ঝলমলে পোশাকে অপূর্ব দেখাচ্ছিল বড় পর্দার ‘ঝিমলি’কে। ছবি দেখতে যাওয়ার আগে রাজের সঙ্গে ‘সন্তান’ নিয়ে নানা কথা বলেছেন। ছবি দেখে বেরনোর পর তাঁর ভিন্ন রূপ। আবারও রাজের মুখোমুখি তিনি। তখনই নিজেকে আর সামলাতে পারেননি কৌশানী। কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছবিতে মা-বাবার সঙ্গে এই প্রজন্মের দূরত্ব দেখিয়েছেন রাজ। দেখিয়েছেন, কেন, কী ভাবে প্রতি মুহূর্তে একা হয়ে যাচ্ছেন জন্মদাতা-জন্মদাত্রী। হয়তো খুবই চেনা গল্প, কিন্তু প্রাসঙ্গিক।
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কৌশানীয় ছবি: সংগৃহীত।
চিত্রনাট্য টানটান করতে প্রতি সংলাপে অনুভূতির সূক্ষ্ম মোচড়। একই সঙ্গে মন ছুঁয়ে যাওয়া গান। সব মিলিয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি নায়িকা। সেই মুহূর্তের ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কান্না ধরে রেখে সে কথা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান কৌশানী। নিজেকে সামলাতে এর পরেই পরিচালকের কাঁধে মাথা রাখতে দেখা যায় তাঁকে। বনি তত ক্ষণে আরও জোরে আঁকড়ে ধরেছেন প্রেমিকার হাত। ছবি না তোলার অনুরোধ জানান চিত্র সাংবাদিকদের। যে কোনও ছবির সংবেদশীল দৃশ্য দেখলে কি এ ভাবেই অনুভূতিপ্রবণ হয়ে পড়েন কৌশানী? আগামী প্রজন্মকেই কি মা-বাবা আর সন্তানের সম্পর্ক নিয়ে কী বলতে চান? বিশদ জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গে। ফোনে সাড়া দেননি তিনি।