কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
তপসিয়ার পর নিউ আলিপুর। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতার দুই জায়গায় বস্তিতে আগুন লাগল। এর আগেও শহরের অন্যান্য জায়গায় বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কখনও উল্টোডাঙায়, কখনও কালিকাপুর বা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কেন বার বার শহরের ঝুপড়িগুলিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর সেতুর নীচের বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফিরহাদ জানান, কেন বার বার ঝুপড়িতে আগুন লাগছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু তো একটা হচ্ছে!’’
শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ আচমকাই নিউ আলিপুরের একটি বস্তিতে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যায় ওই বস্তির একাধিক ঝুপড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। নিউ আলিপুরের সেনাছাউনি থেকে জওয়ানেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দমকলকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন জওয়ানেরা। দুই মন্ত্রীর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস কুমারও।
কলকাতা শহরে একের পর এক বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বার বার ঝুপড়িতে আগুন লাগছে। কিছু তো একটা হচ্ছে। খতিয়ে দেখতে হবে। ঠান্ডার জন্য হয়তো ঘরের মধ্যেই আগুন পোয়ানো হচ্ছিল। সেই থেকেই আগুন লাগতে পারে।’’ কলকাতার মেয়র এ-ও বলেন, ‘‘ওই ঝুপড়ি বেআইনি। ঝুপড়ি রেলের জায়গায়। কত জন থাকতেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’
কী ভাবে আগুন লাগল? এ বিষয়ে মন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘‘আমি বিশেষজ্ঞ নই। তবে আগুন নেভানোর কাজে এগিয়ে আসার জন্য স্থানীয় সকলকে অভিনন্দন জানাই। আগুন নেভার পরেই আসল কারণ বোঝা যাবে।’’
শুক্রবার সকালে তপসিয়ার এক বস্তিতে আগুন লেগেছিল। শতাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। নভেম্বরেও শহরের বেশ কয়েকটি জায়গার ঝুপড়িতে আগুন লাগে।