এই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত এক, আহত আরও এক জন। — নিজস্ব চিত্র।
আবার দু’টি বাসের রেষারেষির বলি হলেন পথচারী। এ বার ঘটনাস্থল হুগলির আরামবাগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, রেষারেষি করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ধাক্কা মারে একটি বাস। তাতে এক জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক জন। বাসটি পথচারীদের ধাক্কা মারতে মারতে পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। বাসের কয়েক জন যাত্রীও আহত হয়েছেন।
দু’টি বাসেরই গন্তব্য আরামবাগ। আর তা নিয়েই রেষারেষি করতে গিয়ে বেঘোরে মৃত্যু হল এক জনের। বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক পথচারী। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কে আগে যাবে, চার মাইলের কাছে আরামবাগগামী দু’টি বাস তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করছিল। এক বার একটি বাস এগিয়ে যাচ্ছে, তার পরেই গতি বাড়িয়ে অন্য বাস ওভারটেক করছে তাকে। এ ভাবেই চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় একটি বাস আচমকাই গতি বাড়িয়ে সামনের বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। সেই সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ২৩ বছরের সরমান শেখ। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সিরাজুল শেখ নামে আরও এক জন। বাসের চালক স্টিয়ারিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ধাক্কা মারেন সরমানকে। তিনি ছিটকে গিয়ে পড়েন। তার পর বাসটি ধাক্কা মারে সিরাজুলকেও। দু’জনেই দু’দিকে ছিটকে পড়েন। নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসটি সোজা নেমে যায় রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে। এতে বাসের কয়েক জন যাত্রীও আহত হন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই সরমান এবং সিরাজুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সরমানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। জানা গিয়েছে, সরমানের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তিনি শ্রমিকের কাজ করতে আরামবাগে এসেছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না। অন্য দিকে গুরুতর আহত সিরাজুলের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালেই। আহত কয়েক জন বাসযাত্রীকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদেরও চিকিৎসা হয় মেডিক্যাল কলেজে।