রাজনৈতিক সৌজন্য: আব্দুল মান্নানকে নিজের হাতে শাল পরিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বেশ কিছু দিন ধরে রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মান্নান অসুস্থ। রাজনৈতিক কাজে হুগলিতে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গেলেন দিলীপ। জানালেন, বিরোধী নেতা হিসেবে ‘মান্নানদা’র প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধার কথা। অসুস্থ শুনে দেখা করে গেলেন। দিলীপের সৌজন্যে আপ্লুত মান্নানও।
২০১৬-’২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ছিলেন চাঁপদানির প্রাক্তন বিধায়ক মান্নান। অন্য দিকে, ২০১৬-’১৯ সাল পর্যন্ত বিজেপি বিধায়ক ছিলেন দিলীপ। বিধানসভায় তাঁদের দেখা হত। কথাও হত। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতে দিলীপ সাংসদ হয়েছেন। মান্নান এখন প্রাক্তন বিধায়ক। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকেই গিয়েছে। শেওড়াফুলির বাড়িতে দেখা করতে এসে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে একটি শাল উপহার দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনৈতিক ভাবে আব্দুল মান্নান আমার মাস্টারমশাই।’’ দিলীপ আরও বলেন, ‘‘মান্নানদা বাংলার বরিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা। কলেজ জীবন থেকে রাজনীতি করে আসছেন। সবার কাছে উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। আমার সঙ্গে ওঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল।’’
অতীতে ফেরেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন বিধায়ক হয়ে বিধানসভা গেলাম, তখন উনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তখন ওঁর কাছে গিয়েই বসতাম। গল্প করতাম। অনেক দিন দেখা হয়নি। ফোনে কথা হত। শুক্রবার হুগলিতে দলের কাজে এসেছিলাম। দেখা করে গেলাম।’’ কী নিয়ে আলোচনা হল? দিলীপের উত্তর, ‘‘দুটো ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা দেখা করলে জল্পনা তৈরি হয়।’’ তার পর হেসে বলেন, ‘‘উনি কংগ্রেস ছাড়বেন না। আমিও বিজেপি ছাড়ব না।’’
দিলীপে আপ্লুত মান্নান বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে সবারই সম্পর্ক ভাল। তৃণমূলের অনেকের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক। বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে এত ঝগড়া করেছি, মামলা করেছি, কিন্তু উনিও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। যোগাযোগ রাখেন। দিলীপবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ওঁর সঙ্গেও আমার সম্পর্ক ভাল।’’