Balagarh Incident

বলাগড়ে ‘বেধড়ক মারধর’ বিজেপি নেতাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল, সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল নিগ্রহের ছবি

হুগলির বলাগড়ে এক বিজেপি নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, মারধরের জেরে জ্ঞান হারিয়েছেন ‘প্রহৃত’ ওই নেতা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩২
Share:

সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিজেপি নেতা (নীল জামা)-কে মারধরের সেই ছবি। ছবি: সংগৃহীত।

হুগলির বলাগড়ে এক বিজেপি নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, মারধরের জেরে জ্ঞান হারিয়েছেন ‘প্রহৃত’ ওই নেতা। রবিবার রাতেই ‘আক্রান্ত’কে বলাগড় ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাড়ির নীচে কাঠের আসবাবপত্রের দোকানে বসেছিলেন বিজেপি কিষান মোর্চার বলাগড় ব্লক সভাপতি সমীর হালদার। অভিযোগ, কয়েক জন মহিলা এবং পুরুষ হঠাৎ করে সমীরের দোকানে চড়াও হন। চেয়ার থেকে টেনে নামিয়ে ওই বিজেপি নেতাকে মারধর করা হয়। দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, চেয়ার বসে রয়েছেন সমীর। তার পরেই দোকানে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে দুই মহিলাকে। এক মহিলা হঠাৎই সমীরের কলার ধরে টানতে থাকেন। দোকানের ভিতর ঢুকে আরও কয়েক জন সমীরকে ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। ওই বিজেপি নেতাকে টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয় (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) ।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “তৃণমূলের স্থানীয় লোকজন সমীরকে বেধড়ক মারধর করেছে। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, পাড়াগত বিবাদে একটি সালিশি সভা নিয়ে কয়েক দিন আগে সমীরের সঙ্গে এলাকার এক তৃণমূলকর্মীর ঝামেলা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে বলাগড় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন সমীর। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, থানায় যাওয়ার কারণেই সমীরকে মারধর করেছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা।

Advertisement

যদিও তৃণমূলের জিরাট অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় রায় বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “সমীর হালদার সব দল করেছেন। পাড়াগত বিবাদের জেরে এই ঘটনা। বিজেপি নেতা তাঁর দোকানে পার্টি অফিস খুলেছেন। সেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। সেখান থেকে মহিলাদের কটূক্তি করা হয়। চায়ের ভাঁড় এবং অন্য আবর্জনা ফেলা নিয়ে বাসিন্দাদের পুরনো অভিযোগ রয়েছে। সেখান থেকেই এই ঘটনা ঘটতে পারে।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “কাউকে মারধর করা কাম্য নয়। তার জন্য আইন আছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ হবে।”

ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, “মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এক জনকে আটক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement