বাঁশবেড়িয়ায় ত্রিবেনীর শিবপুর মাঠে মিলন মেলায় মরণকুয়া খেলা।
দিন সাতেক ধরে বিপজ্জনক ‘মরণকূপ’-এর খেলা চলছিল বাঁশবেড়িয়ার শিবপুরে পুরসভারই মাঠে। লোক টানতে রীতিমতো প্রচারপত্র ছাপিয়ে বিলি করাও হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শনিবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ হল খেলা।
স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ৩৭তম মিলনমেলার অঙ্গ হিসেবেই ওই বিপজ্জজনক খেলার আয়োজন হয়েছিল। মেলায় সহযোগিতা করেছে পুরসভা। ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। সেখানে প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়া সাত দিন ধরে এমন বিপজজ্জনক খেলা চলল কী করে, উঠেছে প্রশ্ন।
চুঁচুড়ার (সদর) মহকুমাশাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা বলেন, ‘‘জানামাত্রই ওই খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। কী করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এই খেলা এতদিন ধরে চলল, জানতে চেয়েছি ক্লাবের কাছে। পুলিশও বিষয়টি নজরে রাখছে।’’
বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীর দাবি, ‘‘পুরসভার মাঠে মেলার জন্য অনুমতি দিয়েছি। ভিতরে কী চলছে, জানব কেমন করে? মেলার উদ্বোধনেও আমি ছিলাম না।’’ মেলার উদ্বোধন করেছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁর দাবি, ‘‘মেলার উদ্বোধন করেছি। সেখানে এমন বেআইনি খেলা চলছে জানতাম না।’’
মিলনমেলা কমিটির সম্পাদক তথা বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূলের সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জানতাম না, মরণকূপ খেলার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এ বার সতর্ক থাকব।’’
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, ‘‘তৃণমূলের সহায়তায় একটা মেলা চলছে আর সেখানে কী হচ্ছে তারা জানে না, এটা হতে পারে না। তৃণমূলের প্রত্যেক নেতা মিথ্যা বলছেন।’’ সিপিএমের বাঁশবেড়িয়া এরিয়া কমিটির সদস্য রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘তৃণমূল টাকা নিয়ে সব করাতে পারে। তাতে কে বাঁচল কে মরল, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। এতদিন কী করে মেলায় ওই খেলা চলল, সেটাই তো প্রশ্ন।’’