অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
আপনার জন্য গর্ব হচ্ছে। নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়ি পৌঁছে আনিসের বাবা সালেম খানকে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আমতায় আনিসের বাড়ি পৌঁছন অধীর। সালেমের সঙ্গে দেখা করার পরই তিনি বলেন, ‘‘ছেলেও প্রতিবাদী, বাবাও প্রতিবাদী, গর্ব হচ্ছে।’’ ২০০৮ সালে ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে আনিস ছিলেন বলেও দাবি করেন অধীর। অধীর আরও দাবি করেন যে, তাঁর সঙ্গে আনিসের ছবিও আছে।
এই পরিস্থিতিতে তিনি সব সময় পাশে আছেন বলেও সালেমকে জানান অধীর। সালেমকে তিনি বলেন, ‘‘আপনার ছেলে প্রতিবাদী ছেলে। সারা বাংলার মানুষ জানে।’’
তবে শুধু বাংলায় নয়, আনিস হত্যাকাণ্ডের জেরে বাংলাদেশেও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অধীর। এই দিন সালেমের শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও কথা বলেন অধীর। নিজের ছেলের জন্য সালেম যে লড়াই করছেন তার জন্য সারা বাংলার মানুষ গর্বিত বলেও জানান তিনি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও আনিস হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে বহু বিরোধী রাজনৈতিক নেতা আমতার ইট বের করা ওই বাড়িতে পৌঁছন। ‘আমাদের দলের ছেলে ছিল’ বলেও দাবি করেন বেশির ভাগ নেতা।
আনিস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এক জন হোমগার্ড এবং এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা ছাড়া এই রহস্যমৃত্যুতে যুক্ত আর কারও হদিস মেলেনি। রাজ্য সরকার হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ করতে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছে। কিন্তু সেই সিট গঠনের পর ১২ দিন পেরোলেও তদন্তে নতুন কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে কি না, এই নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। এদিকে ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, আমতা থানার তৎকালীন ওসি-র নির্দেশে সেই রাতে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই ওসি-কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই দু’জনের গ্রেফতারি ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি। ধৃত এই দু’জনকেও শনাক্ত করতে পারেননি আনিসের বাবা। অথচ আনিসের বাবা সালেমের অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনার রাতে পুলিশ পরিচয়ে তাঁর বাড়িতে চার জন গিয়েছিলেন। শুক্রবার সিটের সদস্যদের আনিসের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয় বলেও পুলিশি সূত্রের খবর।