বিচারক জানান আগামী ৭ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। কারণ ওই দিনই আদালতে জমা পড়বে কেস ডায়েরি। এর ফলে এখনও জেলেই থাকতে হবে মীনাক্ষী-সহ ১৬ জন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীকে।
ফাইল চিত্র।
ছাত্রনেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে হাওড়ার এসপি অফিসে হামলার অভিযোগে ধৃত মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ১৬ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। এর আগে ধৃতদের মধ্যে ১৪ জনকে জেল হেফাজত এবং দু’জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাওড়া আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবারও আদালতে শুনানির সময় বিচারকের কাছে অভিযুক্তদের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবী। কিন্তু সরকারি আইনজীবী ওই জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুক্রবার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ১৬ জনের কেস ডাইরি আদালতে পেশ করা হয়। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযুক্তদের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। আদালতে তিনি বলেন, ‘‘আহত পুলিশকর্মীদের আঘাত গুরুতর নয়। তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রুখতে পুলিশ নিজে থেকে ভিড়ে লোক ঢুকিয়ে গন্ডগোল পাকিয়েছে। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া হোক।’’ সরকার পক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। বিচারক দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আগামী ৭মার্চ সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওইদিন পুলিশের এবং আহত বাম কর্মীদের ‘ইনজুরি রিপোর্ট’ আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে হাওড়ার পাঁচলায় বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে তারা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটায়। গ্রেফতার করা হয় ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ১৬ জনকে।