ফাইল চিত্র।
এক জন হোমগার্ড এবং এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা ছাড়া ছাত্রনেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে যুক্ত আর কারও হদিস মেলেনি। ওই অপমৃত্যুর রহস্যভেদে রাজ্য সরকার ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দল গড়েছে। কিন্তু সেই সিট গঠনের পরে ১২ দিন কেটে গেলেও তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকেরই। তদন্ত আদৌ যথাযথ পথে এগোচ্ছে কি না, কাউকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে কি না— এই সব প্রশ্নকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয় ও সন্দেহ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই দু’জনের গ্রেফতারি ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের নাগাল মিলছে না। অথচ আনিসের বাবা সালেম খানের অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ঘটনার রাতে পুলিশ পরিচয়ে তাঁর বাড়িতে চার জন গিয়েছিলেন। বাকি দু’জন কোথায় গেলেন, জবাব মিলছে না। শুক্রবার সিটের সদস্যদের আনিসের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয় বলে পুলিশি সূত্রের খবর। বাতিল করার কারণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সিট-কর্তারা।
ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, তাঁরা আমতা থানার তৎকালীন ওসি-র নির্দেশে সে-রাতে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই ওসি-কে ডেকে এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পর থেকে ওসি-র ভূমিকা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটেছে। সিট যে-পথে এগোচ্ছে, তাতে আদৌ তদন্ত হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে অনেকের মনেই। ধৃত দু’জনকে শনাক্ত করতে পারেননি আনিসের বাবা। সিট এই তদন্তে কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে আনিসের দেহের ময়না-তদন্ত হয়। তার রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আনিসের দেহের আঘাতের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁর মৃত্যু যে উপর থেকে পড়েই হয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত।