অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জাঙ্গিপাড়ার পাঁচ যুবকের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসী। বুধবার জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ পঞ্চায়েতের নিকাশগ্রামের ঘটনা। সায়ন চৌধুরী নামে ওই যুবকের বাড়ি মালদহ শহরে। তিনি নিজেকে টালিগঞ্জের অভিনেতা বলে দাবি করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। লিখিত অভিযোগ হলে সেই অনুযায়ী তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সায়নের সঙ্গে নিকাশ গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দলুইয়ের যোগাযোগ হয়। সায়ন বেশ কয়েক বার অভিজিতের বাড়িতে এসেছিলেন। অভিজিতের অভিযোগ, ডাকঘরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নেন ওই যুবক। তাঁকে অভিজিৎ একটি মোবাইল ফোনও কিনে দেন। পরে জাঙ্গিপাড়ার রশিদপুর এলাকায় আরও চার জনকে খাদ্য ও টেলিফোন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে সায়ন টাকা নেন বলে অভিযোগ। কিন্তু পাঁচ জনের কেউই চাকরি পাননি। অভিযোগ, এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সায়ন টালবাহানা করতে থাকেন। চাকরির জন্য আরও টাকা দাবি করে।
তবে, সায়নকে তাঁরা আর বিশ্বাস করেননি। তাঁরা জানান, আরও টাকা দেওয়ার নাম করে এ দিন ওই যুবককে দিলাকাশে ডেকে পাঠানো হয়। সায়ন এলে প্রতারিতদের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন বিশ্বজিতদের বাড়িতে তাঁকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। গ্রামবাসীরা জানান, টাকা ফেরত না দিলে ওই যুবককে ছাড়া হবে না। শেষ পর্যন্ত তাঁদের বুঝিয়ে কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
বিশ্বজিৎ জানান, সায়ন তাঁদের জানিয়েছিলেন, এক মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। সেই আত্মীয়ের মাধ্যমেই চাকরি দেওয়া হবে। ওই পাঁচ যুবকের থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে সায়ন বলেন, ‘‘এর সাথে বড় বড় মাথা রয়েছে। নাম বলে দিলে তারা আমাকে খুন করে দেবে। এক মন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব রয়েছে। আমাকে বলা হয়েছিল, বেশ কিছু দফতরে চাকরির জন্য ছেলে লাগবে। বিনিময়ে কিছু টাকা আমি পাব।’’ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।