হাসপাতালে জখম চুন্নি ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
পড়শিদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক যুবক। তাঁকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরির কোপে জখম হলেন দিদি। মঙ্গলবার রাতে উত্তরপাড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মাখলার ঘটনা। চুন্নি ঘোষ নামে বছর চল্লিশের জখম ওই মহিলাকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ প্রথমে অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় বলে ওই মহিলার পরিবারের অভিযোগ। পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বুধবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
চুন্নির অভিযোগ, ‘‘আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার কথা লিখিত ভাবে জানাতে গেলে প্রথমে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে। ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে, বুধবার অভিযোগ নেয়।’’
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। খোঁজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাখলায় লেভেল ক্রসিংলাগোয়া জায়গায় স্থানীয় দুই বাসিন্দার সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন চুন্নির ভাই। ভাইকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে আসেন চুন্নি। তখনই ঘটে বিপত্তি। এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ বসে তাঁর গায়ে। প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেঅভিযুক্তেরা পালায়।
বিষয়টি জানতে পারেন ওই এলাকার কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। তাঁর হস্তক্ষেপেই বুধবার দুপুরে লিখিত অভিযোগপত্র জমা নেয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘‘প্রায়ই উত্তরপাড়ার ওই অঞ্চলে রাতের অন্ধকারে নানা অসামাজিক কাজকর্ম হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে ওই মহিলা প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি।’’
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ঘটনাটি আদতে দু’পক্ষের পুরনো বিবাদ। আগেও ওদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে জামিনে আছে। পুলিশের কাছে হাজিরাও দিচ্ছে। কিন্তু হাজিরা দেওয়ার কারণে কর্মস্থলে যেতে তাদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। পুরনো বিবাদের মীমাংসার জন্যই তারা ওই মহিলার কাছে গেলে ফের ওই রাতে মারপিটের ঘটনা ঘটে।’’