প্রহৃত দুই আরপিএফ কর্মী। বৈঁচীগ্রাম স্টেশনে। ছবি: সুশান্ত সরকার।
সাদা পোশাকে কর্তব্যরত দুই রেল পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠল ট্রেনযাত্রী ও হকারদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে বৈঁচীগ্রাম স্টেশনের ঘটনা। পরে রেলপুলিশের কর্তারা এসে সঞ্জয় রায় এবং নীল কুমার নামে ওই দুই কর্মীকে উদ্ধার করেন। ট্রেনযাত্রী ও হকারদের অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি তোলা তুলছিলেন। তবে অভিযোগ মানেননি প্রহৃতরা।
হকারদের অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের রেলপুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়ে তোলা চাইছিলেন। বৈঁচীগ্রামের এক হকারের কথায়, ‘‘চুঁচুড়া থেকে বাদাম বিক্রির জন্য ট্রেনে উঠেছিলাম। সাদা পোশাকে কয়েকজন যুবক আমার কাছে তিন হাজার টাকা চায়। না দেওয়ায় আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। আমার মতো অনেক হকারের থেকে ওরা টাকা চেয়েছিল। তবে আমরা কাউকে মারিনি।’’ অন্য এক ট্রেনযাত্রীর কথায়, ‘‘পুলিশের পোশাক থাকলে হয়তো কেউ প্রতিবাদের সাহস পেত না। তবে সাদা পোশাকে থাকায় আমরা ভেবেছিলাম, ভুয়ো রেলপুলিশ। টাকা চাইতেই সন্দেহ বাড়ে। ওঁদের মারধর করা হয়নি। ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়ে জখম হতে পারেন।’’
তবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ প্রহৃত ওই দুই রেলপুলিশ। তাঁদের দাবি, ‘‘টাকা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। ওই হকারদের জরিমানা করা হয়েছিল। ওঁরা সেটা দিতে চাননি। পরে দল বেঁধে আমাদের মারধর করেন।’’ রেলপুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাদা পোশাকে ওই দুই কর্মী হাওড়া থেকে মেমারিতে কাজে যাচ্ছিলেন। মারধরের খবর পেয়ে রেলের কর্তারা বৈঁচীগ্রাম স্টেশনে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।