cab driver

ক্যাবচালককে মারধরের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার হাওড়া স্টেশন চত্বরে

‘নো পার্কিং’ জ়োনে অ্যাপ-ক্যাব রাখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদের জেরে বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া সেতু ও স্টেশন চত্বর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪১
Share:

অ্যাপ-ক্যাব দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ চালকদের। বুধবার সন্ধ্যায়, হাওড়া স্টেশন চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

‘নো পার্কিং’ জ়োনে অ্যাপ-ক্যাব রাখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদের জেরে বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া সেতু ও স্টেশন চত্বর। এক অ্যাপ-ক্যাব চালককে পুলিশ মারধর করেছে, এই অভিযোগ ঘিরে গন্ডগোল শুরু হলে পুলিশের সঙ্গে অ্যাপ-ক্যাব চালকদের হাতাহাতি বেধে যায় হাওড়া স্টেশন চত্বরে। মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অ্যাপ-ক্যাবের চালকেরা। অভিযোগ, অবরোধ তুলতে পুলিশকে দফায় দফায় লাঠি চালাতে হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পাঁচ জনকে আটক করে স্থানীয় গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেই ঘটনায় আবার রাত পর্যন্ত গোলাবাড়ি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অ্যাপ-ক্যাব চালকেরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের তিন নম্বর পার্কিং লটের পাশে, যেখানে ‘নো পার্কিং জ়োন’ রয়েছে, সেখানেই এক অ্যাপ-ক্যাব চালক এ দিন বিকেলে গাড়ি রেখেছিলেন। হাওড়া স্টেশন ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ তাঁকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ওই চালক যেতে না চাওয়ায় পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, এরই মধ্যে এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী ওই চালককে চড় মারেন। যার জেরে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অন্য অ্যাপ-ক্যাব চালকেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। ট্র্যাফিক আইন সংক্রান্ত জরিমানার অঙ্ক বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই ক্ষিপ্ত ছিলেন তাঁরা। এ দিনের ঘটনায় তাতেই যেন ঘৃতাহুতি পড়ে। অ্যাপ-ক্যাব চালকেরা অনেকে জড়ো হয়ে হাওড়া সেতুর সামনে শুয়ে পড়ে অবরোধ শুরু করেন।

পুলিশের দাবি, অবরোধ তুলতে লাঠি নিয়ে অবরোধকারীদের তাড়া করা হয়েছিল ঠিকই, তবে লাঠি চালানো হয়নি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ বেধড়ক লাঠি চালিয়েছে। কয়েক জন অ্যাপ-ক্যাব চালক আহতও হয়েছেন বলে খবর। অবরোধের অভিযোগে পুলিশ পাঁচ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাতে ফের গোলাবাড়ি থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চালকেরা।

Advertisement

এ দিন বিক্ষোভকারী অ্যাপ-ক্যাব চালকদের সংগঠনের সহ-সম্পাদক বিপ্লব দত্ত রায় বলেন, ‘‘এক সহকর্মীকে প্রবল মারধর করেছে পুলিশ। তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়। এমনকি, মিথ্যা অভিযোগে অন্য কয়েক জন চালককে আটক করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে গোলাবাড়ি থানা ঘেরাও করা হয়েছে।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘পুলিশ লাঠি চালায়নি। লাঠি নিয়ে তাড়া করে অবরোধ হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামান্য একটা বিষয়কে বেশি বড় করে দেখানো হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে স্রেফ ট্র্যাফিক আইন ভাঙার ক্ষেত্রে জরিমানা বৃদ্ধির ক্ষোভ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement