পারিবারিক সোনার মূর্তি চুরি। নিজস্ব চিত্র।
সকালে পুজো হয়েছিল। অথচ সন্ধ্যায় আরতি করতে গিয়ে দেখা গেল রহস্যজনক ভাবে সিংহাসন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ইঞ্চি দুয়েকের সোনার প্রাচীন শিবদুর্গার মূর্তি। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চুঁচু়ড়ায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার তালডাঙার দাসপাড়ার গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে প্রায় ৮০ বছরের পুরনো ওই শিবদুর্গার মূ্র্তি চুরি হয়েছে গত রবিবার। বাড়িতে সেই সময় ছিলেন গৃহকর্তা তুহিন গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী পায়েল এবং তাঁদের বছর পাঁচেকের পুত্রসন্তান। ছিলেন পরিচারিকাও। পায়েলের কথায়, ‘‘সাধারণত সকাল-সন্ধ্যা দু’বেলা পুজো হয়। এর মাঝে ঠাকুরঘরের দরজা সারা দিন খোলাই থাকে। রাতে ঠাকুরঘর বন্ধ হয়। রবিবার সন্ধ্যায় আরতির সময় ঠাকুরঘরে গিয়ে দেখি সিংহাসন ফাঁকা।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, ওই সোনার মূর্তি ৮০ বছরেরও বেশি পুরনো। ঐতিহাসিক মূল্য থাকার জন্যই ওই মূর্তিটি চুরি হয়েছে বলে মনে করছেন গৃহকর্তা তুহিন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই প্রতিমা বহু পুরনো। শুনেছি, আমার দাদুকে এক জমিদার এই মূর্তি দিয়েছিলেন। আমরা জানি এর বয়স ৭০-৮০ বছর। তবে তার থেকেও বেশি বয়স। এই ভাবে ওটা চুরি হবে ভাবতে পারিনি। চুঁচুড়াতে ইদানীং কয়েকটি চুরি হয়েছে। এই চুরির পিছনেও কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে।’’
তুহিনের দাবি, রবিবার বাড়িতে অচেনা কেউ আসেনি। পুরোহিত নিত্যপুজোর পর চলে গিয়েছিলেন। তা হলে বিগ্রহ গেল কোথায়? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের বিগ্রহ চুরির সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর কাহিনির সঙ্গে পাচ্ছেন অনেকে। পুলিশ এখন মগনলালের খোঁজে।