চিকিৎসাধীন নবকুমার। নিহত দীপা মণ্ডল (ইনসেটে)।
স্ত্রীকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ শ্যামপুরের রতনপুরের এই ঘটনায় নিহতের নাম দীপা মণ্ডল (৪২)। তাঁর স্বামী বছর সাতচল্লিশের নবকুমার মণ্ডলকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নবকুমার সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবকুমার দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। ওই দম্পতির তিন মেয়ে। তার মধ্যে দু’জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নবকুমার কোনও কাজ করতেন না। দীপা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করেই সংসার চালাতেন। পাশাপাশি বিকেলে ফুচকা বিক্রি করতেন তিনি। সেই কাজ করে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় প্রতিদিনই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করত নবকুমার।
মঙ্গলবার সকালে দীপা তাঁর ছোট মেয়েকে নিয়ে বড় মেয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে ছোট মেয়েকে রেখে বাড়ি ফিরতেই ফের অশান্তি করে নবকুমার। রাত এগারোটা নাগাদ যখন দীপা ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় নবকুমার স্ত্রীকে কাটারির কোপ মারে বলে অভিযোগ। দীপার চিৎকারে ছুটে আসেন নবকুমারের দাদা সুকুমার ও অন্যান্য পড়শিরা। সুকুমার বাধা দিতে গেলে নবকুমার তাঁর বাঁ হাতে কোপ মারে বলে অভিযোগ।
নবকুমারকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশে আসছে জানতে পেরে নবকুমার নিজের মাথায় কাটারির কোপ বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে নবকুমারকে চিকিৎসার জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় । আর দীপার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।