গুরুতর আহত সোমা পোড়েল। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক বধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া শিবারামপুর এলাকায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার পর বেপাত্তা অভিযুক্ত যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমা পোড়েল নামে এক বধূ ওই এলাকায় বহু দিন ধরেই বসবাস করছেন। সস্প্রতি এলাকারই এক যুবক তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম কৃষ্ণ ধক। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণের ওই প্রস্তাবে সোমা রাজি ছিলেন না। তিনি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। এই প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে না পেরে সোমা ও তাঁর পরিবারের উপর চড়াও হন কৃষ্ণ। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে কৃষ্ণ আচমকা সোমার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। বাড়িতে তখন উপস্থিত ছিলেন সোমা এবং তাঁর শাশুড়ি নিভা পোড়েল। এর পরই শুরু হয় বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন সোমা ও নিভা। তাঁদের আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং তাঁদের উদ্ধার করেন। তত ক্ষণে পালিয়ে যায় ওই যুবক। প্রতিবেশীদের সাহায্যেই তাঁদের জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সোমার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত ওই যুবকের এখনও কোনও হদিস মেলেনি।