পুলিশ আট জনকে আটক করার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রতীকী ছবি।
এলাকায় সাট্টা-জুয়ার ঠেক ও মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির সঙ্গে বাসিন্দাদের গোলমাল চলছিল কয়েক মাস ধরে। সেই গোলমালই সোমবার সংঘর্ষের চেহারা নিল। পাড়ার এক যুবককে মারধরের ঘটনায় দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ায়। চলে দেদার ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। শেষে পুলিশ আট জনকে আটক করার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ দিনের ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়ার মণ্ডলপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাঁকড়া তৃণমূল পঞ্চায়েতের নেতা সামাদ আলি মোল্লার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মাদক ও জুয়া-সাট্টার ঠেক চালাচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দারা একাধিক বার তার প্রতিবাদ করেছিলেন। অভিযোগ, এর পরেই কয়েক মাস ধরে সামাদের ছেলে সম্রাট দলবল নিয়ে বাসিন্দাদের মারধর করার ভয় দেখাচ্ছিল। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, এ দিন শেখ রিয়াজ নামে এক যুবক মণ্ডলপাড়া দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন, তখন সম্রাটের শাগরেদরা তাঁকে মারধর করে। এর কিছু ক্ষণ পরেই রিয়াজ তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে এসে চড়াও হয় সম্রাটের দলের উপরে। দু’পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি হয়। ইটের আঘাতে কয়েক জনের মাথা ফাটে।
এলাকার বাসিন্দা অণিমা বিবি বলেন, ‘‘জুয়া-সাট্টার ঠেক বন্ধ করতে বার বার পুলিশকে জানানো হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি।’’ ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কী নিয়ে সংঘর্ষ, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে মাদক নিয়ে কাউকে দেখলেই গ্রেফতার করা হবে।’’